২০২৩ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ার পর থেকেই আমূল বদলে গিয়েছে জ্যুড বেলিংহ্যামের দুনিয়া। উদীয়মান তরুণ থেকে তিনি হয়ে গিয়েছেন বিশ্বসেরাদের একজন। দলের অন্যতম শীর্ষ পারফরমার হয়ে জিতেছেন লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এবার তাঁর সামনে সুযোগ এসেছে ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম ট্রফি জেতার, সেজন্য স্পেনের বিপক্ষে জিততে হবে তাঁকে।
টানা দ্বিতীয়বারের মত ইউরোর ফাইনালে উঠেছে থ্রি লায়ন্সরা। আর তাঁদের এই অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে মাদ্রিদ তারকার। টুর্নামেন্টে দলটির হয়ে প্রথম গোল করেছিলেন; এরপর রাউন্ড অব সিক্সটিনে দল যখন বাদ পড়ার দ্বারপ্রান্তে, তখন ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে গোল করে শিরোপা স্বপ্ন টিকিয়ে রেখেছিলেন তিনি।
ফাইনালেও এই মিডফিল্ডারকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছে ইংলিশ সমর্থকেরা। কেননা ফাইনাল ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দেয়ার পুরো সামর্থ্য রয়েছে তাঁর। তবে স্প্যানিশ তারকা দানি অলমো এসব ভাবতে নারাজ; প্রতিপক্ষের কে কেমন খেলে সেসব নিয়ে ভয় পেতে চান না তিনি।
অলমো বলেন, ‘আমি বা আমরা ভয় পাচ্ছি না। বেলিংহ্যাম অবশ্যই সবার জন্য একটা রেফারেন্স পয়েন্ট; ফুটবল খেলাটা সে নিঃসন্দেহে দারুণ খেলে। যেকোনো পরিকল্পনার কেন্দ্র হওয়ার সক্ষমতা আছে তাঁর। তাই তাঁকে অবশ্যই ভাবনায় রেখে মাঠে নামতে হবে। কিন্তু আমি ভয় পেতে রাজি নই।’
এই তারকা ভয় না পেলেও সমীহ যে করছেন বেলিংহ্যামকে সেটা স্পষ্ট। মাঠের খেলায় তাই স্পেন তাঁকে ঘিরে আলাদা কিছু পরিকল্পনা নিশ্চয়ই করবে। সেই ফাঁদ পরাস্ত করতে আবার তিনি নিজেও প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঠিকই।
ক্লাব জার্সিতে ফলস নাইন হিসেবে খেললেও জাতীয় দলে এই ফুটবলার পুরোদস্তুর নাম্বার টেন ভূমিকায় খেলেন। তাই গোল কিংবা অ্যাসিস্ট ছাড়াও তাঁর খেলায় ইম্প্যাক্ট থাকে অনেক বেশি; এখন দেখার বিষয় ফাইনালের মহারণে কতটা জ্বলে উঠতে পারেন তিনি।