বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন তখন, ড্রেসিংরুমের মধ্যমণি ছিলেন; এরই মাঝে হুট করে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। পরবর্তীতে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন। বড় একটা সময় ক্রিকেট ও রাজনীতি একইসাথে চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
বছর পাঁচেক পরে মাশরাফির স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন আরেক তারকা সাকিব আল হাসান। সাবেক অধিনায়কের মত তিনিও নেতৃত্বে থাকাকালীন অবস্থাতেই অংশ নিয়েছেন জাতীয় নির্বাচনে। নির্বাচিত হলে তাই তাঁকে ক্রিকেট আর সংসদ সমানতালে সময় দিতে হবে।
সেক্ষেত্রে অবশ্য বিশ্বকাপে মেম্বার অব পার্লামেন্ট (এমপি) পরিচয় নিয়েই অধিনায়কত্ব করবেন সাকিব। কেননা বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটের কাপ্তানি তাঁর কাঁধেই; অপ্রত্যাশিত কিছু না ঘটলে অন্তত ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই বাঁ-হাতির অধীনে মাঠে নামবে টিম টাইগার্স।
এর আগে মাশরাফিও হেঁটেছিলেন এই পথে; ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে যখন ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন তিনি, তখন সংসদে তাঁর জন্য একটা আসন ছিল। সাকিবের মধ্য দিয়ে সেই স্মৃতিই হয়তো আবার ফিরে আসবে লাল-সবুজের ক্রিকেটাঙ্গনে।
কিন্তু সেটা শঙ্কা জাগাচ্ছে সমর্থকদের হৃদয়ে; দেশসেরা পেসার হওয়া সত্ত্বেও ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ভাল খেলতে পারেননি মাশরাফি। ধারণা করা হয়, ফিটনেস নিয়ে কাজ না করাতেই পুরো টুর্নামেন্টে ছন্দহীন ছিলেন তিনি। যদিও সাকিবের সামর্থ্যের প্রতি বিশ্বাস রাখা যায়, মাঠের বাইরের সব প্রতিকূলতা একপাশে সরিয়ে রেখে তিনি পারফরম করতে জানেন; এমপি হলেও হয়তো সেরাটা দিতে সমস্যা হবে না তাঁর।
তবে অধিনায়কের দায়িত্ব কেবল ব্যাটে-বলে ভাল করাই নয়; ড্রেসিংরুমে সবাইকে একত্রিত করে রাখা, সতীর্থদের ভাল করার পথ বাতলে দেয়াও তাঁর দায়িত্ব। সবমিলিয়ে তাই অধিনায়ককে পারফরমারের চেয়ে বেশি কিছু হতে হয়।
একগাদা প্রশ্ন তাই ঘুরে বেড়াচ্ছে নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডারকে ঘিরে। তিনি কি নির্বাচিত হবেন? যদি হন তাহলে কি অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাবেন – দুটোরই উত্তরই হ্যাঁ হলে আবার সংশয় জাগে এই বাঁ-হাতি অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স দেখাতে পারবেন কি না, পারফেক্ট ক্যাপ্টেন হবেন কি না।