এশিয়া কাপে মন মত স্কোয়াড পাননি বাবর আজম

এবারের এশিয়া কাপে পাকিস্তান ঘরের মাঠে খেলেছে দুই ম্যাচ, সে দুই ম্যাচেই দাপুটে জয় পেয়েছে তাঁরা। কিন্তু শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঠিক উল্টোটা ঘটেছে, একবারও জয়ের দেখা পায়নি বাবর আজমের দল। সবমিলিয়ে তাই হতাশা নিয়েই মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মিশন শেষ করতে হয়েছে।

এবারের এশিয়া কাপে পাকিস্তান ঘরের মাঠে খেলেছে দুই ম্যাচ, সে দুই ম্যাচেই দাপুটে জয় পেয়েছে তাঁরা। কিন্তু শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঠিক উল্টোটা ঘটেছে, একবারও জয়ের দেখা পায়নি বাবর আজমের দল। সবমিলিয়ে তাই হতাশা নিয়েই মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মিশন শেষ করতে হয়েছে।

সেজন্যই বিশ্বকাপের আগে স্কোয়াডে বড়সড় পরিবর্তন আনতে চেয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দুই পরামর্শক মিসবাহ উল হক এবং মোহাম্মদ হাফিজ। অফ ফর্মে থাকা শাদাব খান, ফখর জামানদের বাদ দেয়ার মত ছিল তাঁদের।

তবে পিসিবি চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ জানান যে, হাফিজ, মিসবাহদের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছিলেন অধিনায়ক বাবর আজম। বল হাতে পারফর্ম করতে না পারলেও শাদাব খানকে বিশ্ব আসরেও ভাইস ক্যাপ্টেন রাখার ইচ্ছে ছিল বাবরের।

আর তাতে সম্মত ছিলেন নির্বাচক ইনজামাম উল হকও। তাঁরা দুজনে বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে বড় কোন পরিবর্তন চাননি, বরং দলে থাকা ক্রিকেটারদের উপরই আস্থা রাখতে চেয়েছেন।

শেষমেশ তাদের মতামত গ্রহণ করেন পিসিবি চেয়ারম্যান, এশিয়া কাপ স্কোয়াডে তেমন কোন কাটছাঁট ছাড়াই বিশ্বকাপে স্কোয়াড ঘোষণা করে পাকিস্তান। এ ব্যাপারে জাকা আশরাফ বলেন, ‘বিশ্বকাপে শাদাব খান সহ অধিনায়ক থাকবে এমনটা বাবরের ইচ্ছে। তবে পারফর্ম করতে না পারলে তাঁকে (শাদাব) বাদ দেওয়া হবে।’

তিনি আরো যোগ করেন যে, ‘এশিয়া কাপে সন্তোষজনক পারফরম্যান্স না থাকায় মিসবাহ এবং হাফিজ দুজনে স্কোয়াডে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছে। তবে আমাদের অধিনায়ক এবং প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হক কোন পরিবর্তন আনতে আগ্রহী ছিলেন না। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ভালোর জন্য আমরা বাবরদের পরামর্শ মেনে নিয়েছি।’

গত শুক্রবারে ঘোষিত স্কোয়াডে অবশ্য সেটার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। বিশ্বকাপ দলে থাকা ১৫ জনের মাঝে ১৪ জনই ছিলেন এশিয়া কাপে; একমাত্র হাসান আলী নতুন করে জায়গা পেয়েছেন তবে এমন পরিবর্তন বাধ্য হয়েই করতে হয়েছে টিম ম্যানেজম্যান্ট।

লাহোরের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে পাকিস্তান দলের সাম্প্রতিক ফর্মের কাঁটাছেড়া করতে বসেছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান, এবং দলের সংশ্লিষ্ট অনেকে। সেখানেই স্কোয়াড ইস্যুতে নিজেদের মন্তব্য জানিয়েছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ, বাবর আজমেরা।

এছাড়া সেই আলোচনায় টিম পারফরম্যান্স, খেলোয়াড়দের ফর্ম, ফিটনেস সবকিছু নিয়েই কথা হয়েছে। একই সাথে পরিকল্পনা করা হয়েছে দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজম্যান্টও এবারের সভায় বেশ গুরুত্ব পেয়েছে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...