বাংলাদেশ ক্রিকেটে জাকির হাসানের পরিচিতিটা টেস্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও যে তিনি ব্যাট হাতে শুভ্রতা ছড়াতে পারেন, তারই দেখা মিলল সিলেট-চট্টগ্রাম মহারণে। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে বাঁহাতি এ ব্যাটার খেললেন সময়োপযোগী ৭০ রানের ইনিংস। অপরাজিত যে ইনিংস খেলার পথে তিনি হাঁকিয়েছেন ৭ চার আর ১ টি ছক্কা।
বিপিএলে এর আগেও দুইবার ফিফটি হাঁকিয়েছিলেন জাকির। তবে এবারের ফিফটিতে তিনি ছাপিয়ে গেলেন আগের দুই ইনিংসকেও। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে খেলা ৭০ রানের ইনিংসটি এখন তাঁর বিপিএল সেরা ইনিংস। শুধু তাই নয়, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেললেন এই ইনিংস দিয়েই।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালই করেছিলেন সিলেটের দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিথুন। তবে রানের গতিটা যেন কোথায় গিয়ে যেন আটকে গিয়েছিল। ইনিংসের নবম ওভারে জাকির যখন ক্রিজে আসেন তখনও ৭০ রান নিয়ে গড়পড়তা সংগ্রহ গড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল সিলেট।
কিন্তু সেখান থেকে পরবর্তী ১১ ওভারে সিলেট স্ট্রাইকার্স স্কোরকার্ডে জমা করে ১০৭ রান। যে সংগ্রহ গড়ার পথে নেপথ্যের নায়ক ছিলেন জাকির হাসান। এমনিতে ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করলেও এ দিন নেমে এসেছিলেন তিনে। আর এই পজিশনের এসেই যেন বাজিমাত করলেন এ ব্যাটার। ৪৩ বলে ৭০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের যে যাত্রাটা শুরু হয়েছিল কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে।
শুরুতে কিছুটা সময় নিয়েছিলেন। প্রথম বাউন্ডারি বের করতে সময় নিয়েছিলেন ১২ টা বল। তবে এরপর থেকেই ব্যাট হাতে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন তিনি। ক্যাম্ফারের করা পরের ওভারে মারেন টানা তিনটা চার। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বড় সংগ্রহের দিকে ছুটে চলা সেখান থেকেই। ক্যাম্ফারের পর আল আমিনের উপরও চড়াও হন জাকির।
ইনিংসের ১৭ তম ওভারে নিজের শেষ ওভার করতে আসা আল আমিন ৩ চার হজম করেন জাকির হাসানের কাছ থেকে। তার আগেই অবশ্য ব্যক্তিগত অর্ধশতকে পৌঁছে যান এ ব্যাটার। ৩১ বলে পূরণ করেন হাফসেঞ্চুরি। ফিফটি করার পরই জাকির থামেননি। বরং দলের রান সুসংহত করার লক্ষ্যে খেলে গিয়েছে শেষ বল পর্যন্ত। আর তাতেই ১৭৭ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স।