পাদ্দিকালদের রেকর্ড গড়া ঝড়

টানা তিন ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে রাজস্থান রয়্যালস। রাজস্থান রয়্যালসের সাথে এদিন বিবর্ণ ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমানও। বাংলাদেশি এই পেসার ৩.৩ ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শূন্য।

আগের কয়েকটা ম্যাচেও ইনিংসের শুরুতেই ঝড় তুলেছিলেন দেবদূত পাদ্দিকাল। কিন্তু সেই ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী করতে পারেননি। আজও শুরু করেছিলেন একই ভাবে; কিন্তু আজ আর হতাশ হতে হয়নি এই ওপেনারকে। রাজস্থানের বোলারদের তুলোধোনা করে এবারের আসরের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন পাদ্দিকাল।

পাডিকালের হার না মানা সেঞ্চুরি ও কোহলির হাফ সেঞ্চুরিতে রাজস্থানকে রয়্যালসকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেলো বিরাট কোহলির দল।

আর টানা তিন ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে রাজস্থান রয়্যালস। রাজস্থান রয়্যালসের সাথে এদিন বিবর্ণ ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমানও। বাংলাদেশি এই পেসার ৩.৩ ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শূন্য।

এই মাঠে আগের ম্যাচ গুলোতে দেড়শো রানের পুঁজি নিয়েই যেখানে লড়াই করছেন বোলাররা। সেখানে আজ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে ১৭৭ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলো রাজস্থান রয়্যালস। তাই রান তাড়া করতে নেমে একটু চাপ তো থাকার কথা ছিলো। কিন্তু বেঙ্গালুরুর দুই ওপেনার সব চাপ উড়িয়ে দিলেন নিমিষেই।

উদ্বোধনী জুটিতেই দেবদূত পাডিকাল ও বিরাট কোহলি রাজস্থান রয়্যালসের বোলারদের উপর তান্ডব চালিয়ে ২১ বল হাতে রেখেই দলের জয় নিশ্চিত করেন। ৫২ বলে ১০১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন পাদ্দিকাল এই ইনিংস খেলার পথে ১১ টি চারের সাথে ৬ টি ছয় মেরেছেন এই ওপেনার। পাদ্দিকাল-কোহলির করা ১৮১ রানের অপরাজিত জুটিই আরসিবির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ওপেনিং জুটি।

এছাড়া আরেক ওপেনার বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে আসে ৪৭ বলে ৭২ রান। এই ইনিংসে ৬ টি চারের সাথে ৩ টি ছয় মারেন কোহলি।

এর আগে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা রাজস্থান রয়্যালসের শুরুটা ভালো হয়নি। মাত্র ৪৩ রানে টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যের পড়ে রাজস্থান। একে একে ফিরে যান জস বাটলার, মানান ভোহরা, সাঞ্জু স্যামসন ও ডেভিড মিলার।

এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৬৬ রান যোগ করে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন শিভাম দুবে ও রিয়ান পরাগ। কিন্তু ৪৬ রান করে দুবে ও ২৫ রান করে পরাগ আউট হয়ে গেলে আবার চাপে পড়ে রাজস্থান। কিন্তু শেষের দিকে রাহুল তেওয়াতিয়ার ২৩ বলে ৪০ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান সংগ্রহ করে দলটি।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পক্ষে সবচেয়ে সফল ছিলেন হার্শাল প্যাটেল ও মোহাম্মদ সিরাজ। এই দুই পেসারই তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া ওয়াশিংটন সুন্দর, কেন রিচার্ডসন ও কাইল জেমিসন একটি করে উইকেট শিকার করেন।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

রাজস্থান রয়্যালস: ১৭৭/৯ (ওভার: ২০; বাটলার- ৮, ভোহরা- ৭, স্যামসন- ২১, মিলার- ০, দুবে- ৪৬, পরাগ- ২৫, রাহুল- ৪০, মরিস- ১০, গোপাল- ৭; প্যাটেল- ৪-০-৪৭-৩, সিরাজ- ৪-০-২৭-৩, জেমিসন- ৪-০-২৮-১, রিচার্ডসন- ৩-০-২৯-১, সুন্দর- ৩-০-২৩-১)

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু: ১৮১/০ (ওভার: ১৬.৩; পাদ্দিকাল- ১০১*, কোহলি- ৭২*)

ফলাফল: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ১০ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: দেবদূত পাদ্দিকাল (আরসিবি)

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...