নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে হওয়া প্রথম টেস্ট হতে পারতো জো রুটের মাইলফলক ছোঁয়ার উৎযাপন। তবে হতাশা ছেয়ে আসলো রুটের প্রথম ইনিংসে। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরে যেতে হয় রুটকে। তাতেই তৈরি হয়েছে লজ্জার এক রেকর্ড।
ইংল্যান্ডের ইতিহাসে জো রুট অন্যতম একজন সেরা খেলোয়াড়। ১৫০তম টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ খেলার মাধ্যমে তিনি অসাধারণ এক মাইলফলক অতিক্রম করেছেন। তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে ৪র্থ এবং বিশ্বের ১১তম খেলোয়াড় হিসেবে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন।
৩৩বছর বয়সী রুট অসাধারণ পরিসংখ্যান নিয়ে ম্যাচে খেলতে নামেন। তিনি টেস্ট ক্যারিয়ারে মোট ১২,৭৫৪ করেছেন এবং গড়ে রান করেছেন ৫১.০১। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রান পেলেন না, নেথান স্মিথের ডেলিভারি কভার দিয়ে খেলার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ব্যাটের কানায় লেগে স্ট্যাম্পে আঘাত হানে বল। এর ফলশ্রুতিতে তাকে হতাশাজনক ভাবে সাজঘরে ফিরে যেতে হয়।
এই আউটটি রুটকে একটি অপ্রত্যাশিত ক্লাবের সদস্য করেছেন। যেখানে তিনি ১৫০তম টেস্টে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরা তৃতীয় ব্যাটসম্যান হয়েছেন। তার আগে এই তালিকায় আছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই কিংবদন্তি স্টিভ ওয়াহ্ এবং রিকি পন্টিং। স্টিভ ওয়াহ্ ২০০২ সালে শারজায় পাকিস্তানের বিপক্ষে এই পরিণতির শিকার হন এবং রিকি পন্টিং, যিনি ২০১০ সালে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন।
যদিও ক্রাইস্টচার্চে ঘটে যাওয়া ঘটনা রুটের সাম্প্রতিক ফর্মকে কোনো ভাবেই ব্যক্ত করে না। তিনি অসাধারণ ফর্মে রয়েছেন বছর জুড়ে। তিনি এবছর মোট ১,৩৩৪ রান করেছেন যা গড়ে ৫৫.৭৫। তিনি এবছর মত ৫টি শতক এবং ৪টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন।
টেস্ট ক্যারিয়ারে ৩৫টি শতক হাঁকিয়ে তিনি ইংল্যান্ডের জন্য খুবই গুরুত্বূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। যদিও তার ১২ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে তিনি মোট ১৩ বার শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছেন।
রুটের ১৫০তম টেস্টে পৌঁছানোর অর্জন তাঁর দীর্ঘদিন যাবত ভালো পারফরমেন্স এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ে ধারাবাহিকতার প্রতীক। যদিও এই মাইলফলক ইনিংস প্রত্যাশামতো হয়নি। তবে এটি ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটে তার অসাধারণ অবদানপূর্ণ ক্যারিয়ারের সাক্ষ্য বহন করে।