রুবেন আমরিম – ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নিজের কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন হোঁচট খেয়ে। টেবিলের ১৮ নম্বরে থাকা ইপ্সউইচের বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েও ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাঁদের। শঙ্কার কালো মেঘ জড়ো হয়েছিল আরো একবার, বোডো গ্লিমটের বিপক্ষে হারের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল তাঁরা। কিন্তু শেষমেশ রক্ষা হলো, ভাগ্যিস রাসমাস হল্যান্ড ছিলেন।
ইউরোপা লিগের ম্যাচটাতে তখনো বোধহয় সবাই নিজেদের সিটে বসেনি, রেফারিও কেবল মাত্র বাঁশি বাজিয়েছেন। কিন্তু বাঁশি বাজতে দেরি, উদযাপনে মেতে উঠতে দেরি হয়নি স্বাগতিকদের। কেননা ঘড়ির কাঁটা এক মিনিট পার হওয়ার আগেই বল জালে জড়িয়েছেন আলেহান্দ্রো গার্নাচো।
বোডোর গোলরক্ষক নিকিতা হাইকিন বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ভুল করে বসেন। আর সেটার সুবাদে একেবারে গোলপোস্টের সামনেই বল পেয়ে যান আর্জেন্টাইন তরুণ, এরপর আর গোল মিসের প্রশ্ন আসে না। যদিও চিত্রপট পাল্টে যায় খানিক পরে।
দুর্দান্ত পাসিং, অতঃপর বিশ গজ দূর থেকে বিদ্যুৎ গতির শট – হ্যাকন ইভজেন সমতায় ফেরান বোডোকে। তাতেই আকাশ ছোঁয়া আত্মবিশ্বাস পেয়ে বসে তাঁদের, পরের কয়েক মিনিট টানা আক্রমণ চালায় তাঁরা। ফলাফল, ফিলিপ জিনকেরনাগেলের গোলে লিড পায় বোডো।
খাদের কিনারায় পৌঁছে যাওয়া রেড ডেভিলদের উদ্ধার করতে প্রয়োজন ছিল একজন ত্রাতার; সেই আরাধ্য ত্রাতা হয়ে এসেছেন রাসমাস হল্যান্ড। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে নৌসের মাজরুইয়ের দারুণ একটা ক্রস থেকে গোল আদায় করে নেন তিনি। বিরতি থেকে ফিরে আরো একবার স্কোরবোর্ডে নাম উঠে তাঁর। ম্যানুয়েল উগার্তের পাস থেকে একেবারে ‘পোচার’ স্টাইলে গোল করেন এই ড্যানিশ।
ম্যাচের পরের অংশে উল্লেখযোগ্য কিছু না হলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইউনাইটেড। প্রথমবারের মত ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন আমরিম, প্রথম ম্যাচেই পেলেন জয়ের স্বাদ। লালের দুনিয়ায় তাঁর পুরোটা অধ্যায় এমনই হোক – সেটাই এখন প্রত্যাশা সমর্থকদের।