স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার দু:সময় যেন পিছুই ছাড়ছে না। ক্লাবের অচলাবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটতে শুরু করেছিল এ মৌসুমেই। কিন্তু এ মৌসুম শেষেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে না কাতালানরা। এখনও রীতিমত অঙ্ক কষেই মৌসুম শেষে অনেক ‘যদিও’, ‘কিন্তু’র উপর তাকিয়ে থাকতে হবে ক্লাবকে।
এবারের উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ে বার্সার ঠাই হয়েছিল উয়েফা ইউরোপা লিগে। কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ হয়েছে দলটা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র করার পর ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েও ম্যাচ হেরেছে বার্সেলোনা। আর এতেই ইউরোপা লিগ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে কাতালানদের।
ইউরোপা লিগের এমন ভরাডুবিতে এখন বেশ ঝামেলার মধ্যেই পড়ে গিয়েছে বার্সেলোনা। লা লিগা প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার তেবার এর মধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী জুলাই মাসের আগে বার্সেলোনাকে ২০০ মিলিয়ন ক্ষতি পূরণ করতে হবে। আর এই পরিমাণ অর্থ তাদের পূরণ করতেই হবে যদি তারা পরের মৌসুমে কোনো বাঁধার মুখে না পড়তে চায়।
বার্সেলোনা আগে থেকেই ইউরোপা লিগ থেকে ২০ মিলিয়ন ইউরো অর্থ আয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিল। কিন্তু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়াতে উল্টো ক্ষতির মুখে পড়েছে বার্সা। ইউরোপা লিগ জিতলে প্রাইজমানি হিসেবে ১৪.৪ মিলিয়ন পেতে পারত বার্সা। কিন্তু সেটা তো হচ্ছেই না, বরং এই ক্ষতি কিভাবে পূরণ করবে বার্সা, তাই নিয়েই তাদের ভাবতে হচ্ছে।
এই মুহূর্তে ক্লাবের খেলোয়াড় বিক্রি করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই বার্সার সামনে। যদিও বার্সা প্রেসিডেন্ট হোয়ান লাপোর্তা বরাবরই বলে এসেছেন, তাদের খেলোয়াড় বিক্রি করা লাগবে না।
লা লিগার আর্থিক নিয়মবিধি মেলানো ছাড়াও এই মুহূর্তে বার্সেলোনার উপর রেফারিকে ঘুষ প্রদানের অভিযোগ রয়েছে। যেটা নিয়ে ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে বার্সেলোনার আর্থিক অবস্থা থেকে সার্বিক পরিস্থিতি দিনকে দিন জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। যদিও স্প্যানিশ লা লিগায় দলটা এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। আগের ম্যাচে আলমেরিয়ার কাছে হারলেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৭ পয়েন্ট এগিয়ে তারা নিজেরদের শীর্ষস্থান ঠিকই ধরে রেখেছে।