কেবল একটা বড় স্কোর দূরে আছেন সৌম্য সরকার। এমনিতে, প্রথম ধাপটা তিনি পাশ মার্ক পেয়ে পাশ করে ফেলেছেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনটা ম্যাচেই ভাল সূচনা পেয়েছেন। যার সুবাদে বাংলাদেশ পাওয়ার প্লে-তে দারুণ সূচনা করতে পেরেছে।
প্রথম ম্যাচে প্রথম পাওয়ার প্লে-তে বাংলাদেশ করে ৫৪ রান। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে করেছে যথাক্রমে ৫৯ ও ৫৮ রান। নিয়মিত পাওয়ার প্লে-তে বাংলাদেশ ওভার প্রতি পাঁচের ওপরে রান তুলছে – এটা বিরল এক ঘটনা। সেই ঘটনার সুত্রপাত সৌম্যর হাত ধরে।
ফলে, ওপেনার হিসেবে সৌম্যর যেটা কাজ – সেটা তিনি করেছেন। এখন সৌম্যকে উঠতে হবে দ্বিতীয় ধাপে। সেই পরীক্ষাটা যেন সৌম্য দিতে পারেন – সেই দায়িত্বটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। এমন তো নয় যে, বাংলাদেশের হাতে হাজারটা বিকল্প আছে।
আসলে, সৌম্যার যা পরিসংখ্যান তাতে বিকল্প খোঁজার প্রয়োজনও হয় না। তামিম ইকবাল বাদে কেবল একজনই বাংলাদেশি ওপেনার আছেন যার ব্যাটিং গড় প্রায় ৩৫। যদিও, তাঁর নিয়মিত দলে থাকার নিশ্চয়তা নেই। এমনকি থাকলেও সেটা নিয়ে সমালোচনার তীর্যক বাক্য সহ্য করতে হয় প্রতিনিয়ত।
যদিও, সৌম্য এর মধ্যেই বার্তা দিয়ে রাখছেন। তিন ম্যাচের প্রতিটাতেই তিনি শুরুতে ছিলেন দারুণ ছন্দে। ৩৩, ৩৫ ও ২৪ রানের ইনিংসগুলো তেমনটাই প্রমাণ করে। তবে, প্রমাণের এখনও অনেক কিছুই বাকি আছে। বড় ইনিংস খেলতে হবে সৌম্যকে। লম্বা দৌঁড়ে টিকে থাকতে হলে বড় স্কোরের কোনো বিকল্প নেই। আর তিনি একবার বড় ইনিংস খেলা শুরু করলে, তাঁর মত ভাল কাজটা আর কেউ করতে পারবেন না – এই প্রমাণ তিনি আগেই দিয়েছেন।