৫৩ মিনিটে মোটে ৫.৫ ওভার, ফাইনালে উঠতে কালক্ষেপণ!

ম্যাচ ড্র হলেই মিলত ফাইনালের টিকিট। তবে সেই ফল ‘ড্র’ আনতেই দুলীপ ট্রফির সেমিতে ইচ্ছাকৃতভাবে সময় নষ্ট করার রণকৌশল বেছে নিয়েছিল উত্তরাঞ্চল।

ম্যাচ ড্র হলেই মিলত ফাইনালের টিকিট। তবে সেই ফল ‘ড্র’ আনতেই দিলীপ ট্রফির সেমিতে ইচ্ছাকৃতভাবে সময় নষ্ট করার রণকৌশল বেছে নিয়েছিল উত্তরাঞ্চল। 

জয়ের জন্য শেষ দিনের শেষ সেশনে দক্ষিণাঞ্চলের প্রয়োজন ছিল মোটে ৩২ রান। হাতে ছিল ৬টি উইকেট। উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে দক্ষিণাঞ্চলের ম্যাচ জয় তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। 

তবে ব্যাঙ্গালুরুর মেঘলা আকাশে ক্ষীণ আশার বাতি জ্বলে উঠেছিল উত্তরাঞ্চল শিবিরে। কারণ ঐ প্রতিকূল আবহাওয়াতে খেলা বন্ধ হলেই দিলীপ ট্রফির ফাইনালে জায়গা করে নিতে পারত উত্তরাঞ্চল। 

আর এমন ফাইনালে ওঠার ম্যাচেই ভিন্ন এক রণকৌশল বেছে নেয় উত্তরাঞ্চল। বৃষ্টির পরে শেষ সেশনের খেলা পুনরায় শুরু হলে এক সময় ৫.৫ ওভার বল করতেই উত্তরাঞ্চল সময় লাগায় প্রায় ৫৩ মিনিট।

যাতে করে পুনরায় বৃষ্টিতে ভেস্তে যায় ম্যাচটি। কিন্তু জয়ন্ত যাদবদের অকারণে সময় নষ্ট করার রণকৌশল শেষ পর্যন্ত কাজে দেয়নি। 

ইনিংসের ৩৬.১ ওভারে উত্তরাঞ্চলের অধিনায়ক জয়ন্তকেই ছক্কা হাঁকিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ম্যাচ জয় নিশ্চিত করেন সাই কিশোর। ফলত, ড্র নিয়ে ফাইনালে ওঠার সমীকরণ মাথায় নিয়েও দিলীপ ট্রফির ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয় উত্তরাঞ্চল। 

তবে এরই মধ্যে উত্তরাঞ্চলের এমন কৌশল নিয়ে সমালোচনার জোয়ার বইছে ভারতের ক্রিকেট অঙ্গনে। সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ডোড্ডা গণেশ তো উত্তরাঞ্চলের এমন আচরণকে স্পিরিট অব ক্রিকেটের পরিপন্থী দাবি করে বোর্ডের পদক্ষেপ দাবি করেছেন।

অবশ্য বিজয়ী দল দক্ষিণাঞ্চলের অধিনায়ক হনুমা বিহারী বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁর মতে, ঐ মুহূর্তে তিনি যদি উত্তরাঞ্চলের অধিনায়ক হতেন, তাহলে ম্যাচ জেতার জন্য তিনিও একই কাজ করতেন।

এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন বহু ম্যাচ খেলেছি, যেখানে শেষ সেশনে  ওভার রেট স্লো করে দিতে দেখা গিয়েছে। ম্যাচ জেতার জন্য একটা দল সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেই। তাই এতে অন্যায়ের কিছু নেই। কেউ এটাকে স্পিরিটের পরিপন্থী বলতেই পারেন।  তবে আমি উত্তরাঞ্চলের অধিনায়ক হলে একই কাজ করতাম।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...