অস্ট্রেলিয়ার চোখ সেমিফাইনালে আর ইংল্যান্ডের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা করে নেয়া – উদ্দেশ্য ভিন্ন হলেও দুই দলই একে অপরের বিরুদ্ধে জিততে মরিয়া ছিল। যদিও অধরা জয় শেষমেশ পেয়েছে অজিরা; ইংলিশদের ৩৩ রানে হারিয়ে সেরা চার প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে দলটি।
আগে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভাল হয়নি। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ট্রাভিস হেড এদিন ফিরে যান ১১ রান করে; আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারও ১৫ রানের মাথায় একই পথ ধরেন। তবে দলকে চাপে পড়তে দেননি স্টিভ স্মিথ আর মার্নাস লাবুশানে, দুজনের হিসেবী ব্যাটিংয়ে এগুতে থাকে স্কোরবোর্ড।
ফিফটি থেকে ছয় রান দূরে থাকতে স্মিথ আউট হলে ভাঙে তাদের ৭৫ রানের জুটি। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জশ ইংলিশও; যদিও অন্যপ্রান্তে লাবুশানে তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি; কিন্তু এবারও সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি, ৭১ রান করা এই অজি ব্যাটারকে আউট করে ব্রেকথ্রু এনে দেন মার্ক উড।
ইনিংসের শেষভাগে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকায় ৩০০ পার করা সম্ভব হয়নি অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে। তবে জাম্পা, গ্রিনদের কার্যকরী অবদানে ২৮৬ রানের চ্যালেঞ্জিং পুজি পেয়েছে প্যাট কামিন্সের দল।
রান তাড়ায় প্রথমেই মিচেল স্টার্কের তোপের মুখে পড়ে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার। প্রথম বলেই জনি বেয়ারস্টোকে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন এই পেসার, একই কায়দায় জো রুটকেও সাজ ঘরে পাঠান তিনি। যদিও তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ডেভিড মালান ও বেন স্টোকস।
দুজনের ৮৪ রানের জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল ইংলিশরা। কিন্তু ৫০ করে মালান এবং ১ রান করা বাটলার আউট হলে ভাঙ্গে সেই স্বপ্ন। এরপরও লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন স্টোকস, এই বিশ্বকাপে নিজের প্রথম অর্ধশতকের দেখা পান তিনি। কিন্তু এতটুকুই, অতিমানবীয় কিছু এবার আর করতে পারেননি; ফিরেছেন ৬৪ রান করে।
মঈন আলী, লিভিংস্টোনরাও পারেননি বলার মত কিছু করতে; ১৮৬ রানে সাত উইকেট হারিয়ে তাই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা কেবলই ব্যবধান কমিয়েছেন পরাজয়ের – শেষপর্যন্ত সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে ২৫৩ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড।
এই পরাজয়ে বাংলাদেশের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়লো থ্রি লায়ন্সরা। সেই সাথে তাঁদের ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়েছে।