তারপরও অসুখী আকিল

স্বীকৃত ক্রিকেটে আকিল হোসেনের অভিষেক হয়েছে প্রায় ৮ বছর আগে। টি-টোয়েন্টি খেলছেন ৬ বছর ধরে। এমনকি ২০১৭ সালের বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের স্কোয়াডেও ছিলেন তিনি। তবে দীর্ঘ সময় ধরে খেললেও নিজকে প্রমাণ করতে পারেননি সেভাবে। তাই জাতীয় দলের আশে পাশেও আসা হয়নি আকিলের। তবে সময়ের ব্যবধানে বদলে গিয়েছে সব কিছু; ভাগ্য মুখ তুলে তাকিয়েছে আকিলের দিকে।

প্রথম জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েই সেটা দারুনভাবে কাজে লাগিয়েছেন আকিল। তবে নিজের পারফরম্যান্সের পরও তিনি সন্তুষ্ট নন। কারণ, তার দল জয় পায়নি।

প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে যেখানে কোন মৌসুমেই ১২ উইকেটের বেশী নিতে পারেননি। সেই আকিল হোসেনই গত মৌসুমে শিকার করেন ৩৬ উইকেট। সর্বশেষ ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়াম লিগেও ৭ ম্যাচে ওভার প্রতি মাত্র ৫ রান দিয়ে নেন ১০ উইকেট। কিন্তু আকিলের এই পারফর্মও যথেষ্ট ছিলো না জাতীয় দলে আসার জন্য। তবে নির্বাচকদের নজর কেড়েছিলেন ঠিকই।

বাংলাদেশ সফরে করোনা ইস্যুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা নাম প্রত্যাহার করে নিলে ভাগ্য খুলে যায় আকিল হোসেনের। ২৭ বছর বয়সে প্রথম বারের মতো জাতীয় দলে ডাক পান এই স্পিনার। আর অভিষেকেই দারুণ বোলিংয়ে দেশের হয়ে করেছেন রেকর্ড।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে অভিষেকে স্পিনে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এখন আকিল হোসেনের দখলে। রেকর্ড গড়তে আকিল হোসেন পেছনে ফেলেছেন রজার হার্পার ও দেবেন্দ্র বিশুকে। ১৯৮৩ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেকে ৩৪ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছিলেন অফ স্পিনার হার্পার। আর ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকে হার্পার মতোই বোলিং ফিগার ছিলো লেগ স্পিনার বিশুর। তিনিও ৩৪ রানে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পেয়ে প্রথম ম্যাচেই নিজের এমন পারফরম্যান্সে আকিল  খুশি হলেও দলের হারে হতাশ এই স্পিনার। জানিয়েছেন এই আক্ষেপ সব সময় মাথায় থেকে যাবে তাঁর।

তিনি বলেন, ‘নিজের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। তবে দলকে জেতাতে না পারাটা সব সময় মাথায় থেকে যাবে। এমনিতে নিজের পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট। অভিজ্ঞতা বেশ ভালো ছিল। আমরা সবটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা পারিনি। আশা করি, পরের ম্যাচে আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’

ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশকে মাত্র ১২৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের জয়টা হেসে খেলে আসার কথা থাকলেও আঁটসাঁট বোলিং করে লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত ও ম্যাচ সেরা সাকিবের উইকেট তুলে নিয়ে ভীতি জাগিয়ে দিয়েছিলেন স্বাগতিকদের মনে। ১০ ওভারের বোলিং কোটা পূরণ করে আকিল ৩ উইকেট শিকার করেন মাত্র ২৬ রানের বিনিময়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link