লড়াই ছাপিয়ে ‘টাইমড আউট’ বিতর্ক। আর তাতে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে উত্তেজনার পারদ পৌঁছেছিল চরমে। তবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বৈরথে শেষ হাসিটা হেসেছে বাংলাদেশই। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৮০ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশ পৌঁছে যায় ৫৩ বল আর ৩ উইকেট হাতে রেখেই।
বোলিংয়ে ২ উইকেটের পর ৮২ রানের পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে ম্যাচ শেষে সাকিবকে অনুমিতভাবেই বলতে হয়েছিল অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে ‘টাইমড আউট’ করার বিষয় নিয়ে। কারণ শ্রীলঙ্কার ইনিংসে ম্যাথুসকে ‘টাইমড আউট’ করার ক্ষেত্রে প্রথম আপিলটা সাকিবই করেছিলেন। তবে ম্যাচ শেষে বেরিয়ে আসলো ভিন্ন কথা।
এক ফিল্ডারের ভাবনাতেই নাকি এই ‘টাইমড আউট’-এর সূত্রপাত হয়েছিল। সেই ফিল্ডারের নাম প্রকাশ না করে এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আসলে আমাকে এক ফিল্ডার এই বিষয়টা(টাইমড আউট) জানিয়েছিল। এরপরেই আমি আপিল করি আম্পায়ারের কাছে।’
১৪৬ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসের একবারের জন্যও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর আগে টাইমড আউটের ঘটনা ঘটেনি। এটা কি কিছুটা স্পিরিট অব গেমের পরিপন্থী হয়ে গেল? সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের করা এমন প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘এটা ঠিক না ভুল আমি জানি না। এটা নিয়মে আছে। তাহলে আমি তার প্রয়োগ ঘটাবোই। আমি যদি যুদ্ধক্ষেত্রে যাই, তাহলে আমি আমার দলকে জেতানোর চেষ্টাটাই সব সময় করবো। এটা ঠিক না ভুল, তা নিয়ে বিতর্ক হবে। তবে এটা যদি নিয়মে থাকে, তাহলে সেই সুযোগটা নিতে আমি দ্বিধাবোধ করবো না।’
এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তটা নিয়ে আমার কোনো দ্বিধা ছিল না। আমরা এখানকার উইকেট সম্পর্কে জানি। শান্তর সাথে জুটিটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে উইকেট কম হারিয়ে, আরো কিছু ওভার আগে ম্যাচটা জিতলে ভাল হতো। তবে দিনশেষে জয় তো ‘জয়’ই।
এ দিকে ‘টাইমড আউট’ নিয়ে সাকিবের অনুতপ্ত না থাকলেও হতাশা ঝরেছে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশাল মেন্ডিসের কন্ঠে। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, ‘এটা অবশ্যই হতাশার। ম্যাথুস যখন ক্রিজে তখন সে দেখে তাঁর হেলমেটের স্ট্র্যাপ ছেঁড়া। এ কারণে কিছুটা দেরি হয়েছিল। তবে তখনও ৫ সেকেন্ড বাকি ছিল। তাঁকে ৫ সেকেন্ড আগে আউট দেওয়া হয়। এমন আউট সত্যিই অপ্রত্যাশিত। আমি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে হতাশ। তাঁরা এই সিদ্ধান্তটা বদলও করতে পারতো।