আগেই ধারণা করা হয়েছিল এবারের বিশ্বকাপে রানবন্যা নিয়মিত দৃশ্য হয়ে উঠবে। হয়েছেও তাই, ভারতের মাটিতে ব্যাটাররাই তুলনামূলক বেশি সফল হয়েছে। তাই তো অন্যান্য আসরের চেয়ে বড় রান দেখা গিয়েছে অধিক সংখ্যক ইনিংসে। দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত এমনকি নিউজিল্যান্ডও পার করেছে ৪০০ রানের গন্ডি।
সবমিলিয়ে এবারের আসরে ৪০০ রান পার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে তিনবার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকা এই কীর্তি গড়েছিল। সেই ম্যাচে ব্যাটারদের তান্ডবে ৪২৮ রান করে প্রোটিয়ারা; ডি কক, ভ্যান ডার ডুসেন আর মার্করামের সেঞ্চুরিতে বিশ্বকাপ ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড নতুন করে হয়েছিল।
এছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড ৪০১ রান করেছিল। অবশ্য বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বিশাল এই টার্গেট তাড়া করে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছিল পাকিস্তান, ফখর জামানের ৮১ বলে ১২৬ রানের অতিমানবীয় ইনিংসে অসম্ভব এই জয় পেয়েছিল দলটি। আর সর্বশেষ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে স্বাগতিক ভারত ৪১০ রান করেছিল; শ্রেয়াস আইয়ার এবং লোকেশ রাহুলের ব্যাট থেকে এদিন জোড়া সেঞ্চুরি এসেছিল।
এর আগের ১৩টি আসরে মাত্র চারবার ৪০০+ রান হয়েছিল। তবে এবার এক আসরেই তিনবার হয়েছে এমন কীর্তি। এছাড়া বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবমিলিয়ে ১৭ বার এক ইনিংসে ৩৮০ এর বেশি রান হয়েছিল, অথচ চলতি বিশ্বকাপেই আটবার দেখা গিয়েছে ৩৮০+ রানের ইনিংস।
এর মধ্যে অবশ্য একটি করে ৩৯৯ রানের ইনিংস রয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার। খানিকটা ভাগ্যের ছোঁয়া ফেলে আরো দুইটি ইনিংস যোগ হতে পারতো ৪০০ এর ঘরে।
পরিসংখ্যানেই তাই স্পষ্ট, এই বৈশ্বিক আসরে কতটা আধিপত্য দেখাচ্ছেন ব্যাটাররা। ক্রিকেট যে আসলে ব্যাটিং বান্ধব হয়ে উঠেছে সেটাও প্রমাণ হয়েছে একই সাথে। আর সেই ব্যাটিং বান্ধব ক্রিকেটের আরেকটা শ্রেষ্ঠতম মাইলফলক হয়ে থাকবে এই বিশ্বকাপ।