শামির ‘সাত’-এর সঙ্গী যারা

বিশ্বকাপে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর তালিকায় নিজেকে আগেই বসিয়েছিলেন মোহাম্মদ শামি। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে যা করে দেখালেন, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। সাত উইকেট নিয়ে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম যেন হয়ে উঠেছিল শামিময়। আর ৫৭ রান ৭ উইকেটের সেই বোলিং স্পেলেই বিশ্বকাপে ৫০ উইকেটের মাইলফলক পেরিয়েছেন ভারতীয় এ পেসার।

অবশ্য বিশ্বকাপের মঞ্চে সাত উইকেট পাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম না। এর আগে ৪ জন বোলার এই কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন। যার শুরুটা হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার উইন্সটন ডেভিসের হাত ধরে। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫১ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন করেন। যেটি প্রায় ২০ বছর ধরে বিশ্বকাপের সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড হিসেবে অক্ষত ছিল।

১৯৮৩ বিশ্বকাপের দুই দশক ২০০৩ বিশ্বকাপে দুইবার সাত উইকেটের স্বাক্ষী হয় বিশ্ব ক্রিকেট।নামিবিয়ার বিপক্ষে ১৫ রানে ৭ উইকেট শিকার করেছিলেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। আর সেই একই আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ রান খরচায় ৭ উইকেট নিয়েছিলেন আরেক অজি পেসার অ্যান্ডি বিকেল। এরপর ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৩ রানে ৭ উইকেট নিয়ে নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি।

সাত উইকেট শিকারের এই তালিকায় পঞ্চম বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন মোহাম্মদ শামি। তবে সাত উইকেটের কীর্তিতে ভারতীয় এ পেসার আবার এক দিক দিয়ে অনন্য। এই তালিকায় তিনিই প্রথম বোলার যিনি বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে সাত উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়লেন। শামির আগে যারাই ৭ উইকেট পেয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই এই কীর্তি গড়েছেন গ্রুপপর্বে।

শামির আগে নকআউট পর্বে ৬ উইকেট শিকারের কীর্তি ছিল দুজনের। ১৯৭৫ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪ রানে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার গ্যারি গিলমোর। আর ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুপার সিক্সের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের শেন বন্ড পেয়েছিলেন ২৩ রানে ৬ উইকেট। সেই ধারাবাহিকতায় নকআউট পর্বে এবার ৭ উইকেটের নজিরও দেখলো বিশ্বকাপ। আর সেটি আসলো মোহাম্মদ শামির হাত ধরে।

শামি অবশ্য এই সাত উইকেট পাওয়ার মধ্য দিয়ে আরেকটি রেকর্ডও গড়েছেন। বিশ্বকাপে নিজের মাত্র ১৭ তম ম্যাচে এসে ছুঁয়েছেন পঞ্চাশ উইকেটের মাইলফলক। যা তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম ৫০ উইকেট শিকারের নতুন রেকর্ডে। এর আগে ১৯ ম্যাচ ও ৯৪১ ডেলিভারিতে পঞ্চাশ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মিশেল স্টার্ক। শামি সেই রেকর্ডটাকেই ছাপিয়ে গেলেন ১৭ ম্যাচ ও ৭৯৫ ডেলিভারিতে পঞ্চাশ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়ে।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link