এবারও সেমিফাইনালের গেঁরো খুলতে পারলো না দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০১৫ সালের পর আরো একবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে হারতে হলো তাঁদের। ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে অস্ট্রেলিয়া তিন উইকেটে হারিয়েছে টেম্বা বাভুমাদের।
আগে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুতেই অজি পেসারদের তোপের মুখে পড়ে। প্রথম ওভারে অধিনায়ক বাভুমার উইকেট তুলে নেন মিশেল স্টার্ক, খানিকক্ষণ পরে জস হ্যাজলউড ফেরান ইনফর্ম কুইন্টন ডি কককে। এরপর এইডেন মার্করাম আর রসি ভ্যান ডার ডুসেনও আটকা পড়েন যথাক্রমে স্টার্ক আর হ্যাজলউডের বলে। ২৪ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে তখন বিপর্যয়ের মুখে পড়ে প্রোটিয়ারা।
সেসময় ত্রাতা হয়ে আসেন হেনরিখ ক্ল্যাসেন এবং ডেভিড মিলার। পরিস্থিতি অনুযায়ী দুজনে ব্যাট করলে ম্যাচে ফেরে দলটি, কিন্তু ৪৭ রানে ক্ল্যাসেন আউট হলে আবার ধ্বস নামে ব্যাটিং লাইনআপে। আর কেউই বাইশ গজে যথেষ্ট সময় স্থায়ী হতে পারেননি। অন্য প্রান্তে অবশ্য অবিচল থাকেন মিলার, তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি।
বাকি সময় দলের ইনিংস প্রায় একাই টেনে নিয়েছেন এই হার্ডহিটার। ৪৮তম ওভার পর্যন্ত মাঠে থেকে দলের রান ২০০ রান পার করেছেন তিনি, ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ সেঞ্চুরিও পেয়েছেন। যদিও সেঞ্চুরির পর এগুতে পারেননি আর, ফলে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও থামতে হয়েছে মাত্র ২১২ রানেই।
জবাবে শুরুটা আগ্রাসী মেজাজেই করেছেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার আর ট্র্যাভিস হেড। প্রথম ছয় ওভারেই ৬০ রান তোলেন এই দুজনে, কিন্তু পর পর দুই ওভারে ওয়ার্নার ও মার্শকে ফিরে গেলে শঙ্কার মেঘ জমা হয় অজি আকাশে। তবে সেটা স্থায়ী হয়নি হেডের ঝড়ে, ৪০ বলেই হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি।
কিন্তু হঠাৎ-ই ম্যাচের গতিপথ বদলে যায়; নিয়মিত বিরতিতে হেড, ম্যাক্সওয়েল আর লাবুশানের উইকেট তুলে নিয়ে খেলা জমিয়ে দেন প্রোটিয়া বোলাররা। যদিও অস্ট্রেলিয়ার আশার প্রদীপ হয়ে তখনও জ্বলেছিলেন স্টিভ স্মিথ, তবে জয় থেকে ৩৯ রান দূরে থাকতে কোয়েটজির বলে কিপারের গ্লাভসবন্দী হন তিনি। তাতেই জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
অবশ্য জশ ইংলিশের দৃঢ়তা সেই স্বপ্ন পূরণে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই অজি উইকেটকিপারের ২৮ রানের অনেকটা কাছাকাছি পৌঁছে যায় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু তিনি আউট হতেই পুনরায় চাপে পড়ে দলটি। যদিও জয় পেতে সমস্যা হয়নি, স্নায়ু ধরে রেখে নির্ধারিত লক্ষ্য পেরিয়ে যান স্টার্ক, কামিন্সরা।