একটা বিশ্বকাপ বদলে দিতে পারে সবকিছুই। অন্ততপক্ষে এই উপমহাদেশে বিশ্বকাপের প্রভাব বিস্তর। ইতোমধ্যেই তো সেই প্রভাব বিভিন্নভাবে সামনে আসতে শুরু করেছে। পাকিস্তান ক্রিকেটেই তো ঘটে যাচ্ছে নানারমকম রদবদল। অধিনায়কত্ব থেকে টিম ম্যানেজমেন্ট সর্বত্র আসছে পরিবর্তন।
ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন বাবর আজম। শুধু ওয়ানডে নয়, তিন ফরম্যাটের অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি। নানা মহলে এই নিয়ে বিভিন্ন মতের চর্চা হচ্ছে। তবে ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ডেভিড লয়েড অবশ্য সাধুবাদ জানাচ্ছেন বাবরের এমন সিদ্ধান্তকে।
পাকিস্তানকে সাম্প্রতিক সময়ে সফলতার মুখ দেখাতে পারেননি বাবর আজম। এমনকি ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল অবধি খেলতে পারেনি তার দল। ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয়ী দলের এমন পারফরমেন্সে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়া ভীষণ স্বাভাবিক।
তাতে করে বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠাও স্বাভাবিক। হয়েছেও তাই। তবে লয়েড মনে করেন বাবরকে শুধু মাঠে দলকে পরিচালনা করতে হয়নি। বরং সামলাতে হয়েছে মাঠের বাইরের রাজনীতিও। তিনি মনে করেন অধিনায়কত্ব করা সহজ কাজ। তবে রাজনীতি সামলে নয়।
এই নিয়ে ডেভিড লয়েড বলেন, ‘সবচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে বোলার পরিবর্তন ও ফিল্ডার সাজানো। রাজনৈতিক বিষয়বস্তু যখন এসে পরাজয়ের কারণ ময়নাতদন্ত করে তখন তা কোলাহল সৃষ্টি করে।’
উপমহাদেশের ক্রিকেটে বরং ক্রিকেট ছাপিয়ে আরও পারিপার্শ্বিক বিষয়বস্তু প্রভাবক হয়ে ওঠে সমালোচনার। সেসবই বরং বাবর আজমকে রেখেছিল ভীষণ পীড়ায়।
ঠিক সে কারণে ব্যাটার বাবর আজমও ব্যর্থ হয়েছে এবারের বিশ্বকাপে। তাছাড়া নিজেকে পূর্ণ রুপে মেলে ধরতেও যেন পারছেন না। লয়েড মনে করেন বাবর এই মুহূর্তে অন্যতম সেরা ব্যাটারদের একজন। তার এখন নিজের খেলার প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত। দলের মাথাব্যথা অন্যেরই বহন করা উচিত।
লয়েড বাবরকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘বাবর এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়দের একজন। স্রেফ খেলা চালিয়ে যান এবং অন্য কাউকে মাথাব্যথা নিতে দিন।’
বাবর সম্ভবত সেই কাজটিই করতে চলেছেন। তিনি নিজের খেলার আরও বেশি মনোযগী হতেই ছেড়েছেন সকল দায়-দায়িত্ব। নির্ভার হয়ে তিনি ছোটাবেন রানের ফোয়ারা সেটাই প্রত্যাশিত।