মুকেশদের নিয়ে হয় না আলোচনা

ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে পরাজয়ের মাত্র চারদিন পরেই আবার মুখোমুখি হয়েছে ভারত আর অস্ট্রেলিয়া; তবে এবার ফরম্যাট বদলেছে, সেই সাথে বদলেছে ম্যাচের ফলাফল। চল্লিশ ওভারের লড়াই শেষে জয়ের হাসি হেসেছে ভারত, অজিদের দুই উইকেটে হারিয়েছে তাঁরা।

এমন জয়ে মূল অবদান অবশ্যই সুরিয়াকুমার যাদবের। ঈশান কিষাণ আর রিংকু সিংরাও নিজের কাজটা করেছেন ঠিকঠাকভাবেই। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের ঘিরেই হচ্ছে সব আলোচনা। সে তুলনায় জয়ের আরেক নায়ক মুকেশ কুমারকে নিয়ে তেমন কথাই হচ্ছে না; অথচ তাঁর পারফরম্যান্সকে কোন ক্রমেই ছোট করে দেখার উপায় নেই।

অজি ব্যাটাররা যখন আর্শ্বদীপ সিং, রবি বিষ্ণুইদের তুলোধুনো করছিলেন, মুকেশ তখন টেনে ধরেছেন রানের চাকা। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ভ্যারিয়েশন ব্যবহার করে জশ ইংলিসদের বারবার ধোঁকা দিয়েছেন তিনি; কখনো ইয়র্কার করেছেন, কখনো আবার বাউন্সারে পরাস্ত করেছেন। তাঁর জন্যই উড়ন্ত সূচনা পাওয়া ক্যাঙারুরা শেষ পর্যন্ত ২১০ রানের আগেই থেমে গিয়েছে।

সবমিলিয়ে চার ওভারে মাত্র ২৯ রান দিয়েছেন এই পেসার। অস্ট্রেলিয়ারা পুরো ইনিংসে ওভারপ্রতি দশের বেশি করে রান তুললেও তিনি বল করে গিয়েছেন সাতের কাছাকাছি ইকোনমিতে। তাঁর শেষ ওভারে স্রেফ ছয় রান নিতে পেরেছিল স্টোয়িনিস, টিম ডেভিডের মত হিটাররা।

ম্যাচ শেষে তাই অধিনায়ক সুরিয়ার প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই ডানহাতি। সুরিয়া বলেন, ‘এটা (মুকেশের স্পেল) দুর্দান্ত ছিল। ১৬ ওভারের পরে পেসাররা যেভাবে আমাদের ম্যাচে ফিরিয়েছে সেটা অসাধারণ অর্জন।’

অন্যদিকে ক্রিকেট বিশ্লেষক আকাশ চোপড়া বলেন, ‘মুকেশ কুমারের শেষ ওভারটি দুর্দান্ত হয়েছে। ওই ওভারে মাত্র পাঁচ রান দিয়েছে সে। যদিও সেসময় একটি নো বল আর ফ্রি হিট ছিল। কিন্তু সে যেভাবে নিখুঁত সব ইয়র্কার করেছে তা ব্যাটসম্যানদের বেঁধে ফেলেছে। সে যদি ওই ওভারে ১৫ রানের মতো খরচ করতো তাহলে ভারতকে ২২০ রানের মত লক্ষ্য তাড়া করতে হতো। এবং সেটা অবশ্যই দলের জন্য আরও কঠিন হয়ে যেত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link