সাকিবকে নিয়ে বিস্ময়ের যেনো আর শেষ নেই।
এক বছর নিষিদ্ধ ছিলেন। এই সিরিজ দিয়েই ফিরলেন। এর আগেও অনেকবার আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে তার প্রত্যাবর্তন হয়েছে উপন্যাসের মতো করে। আরও একবার সেই কাজটা করে দেখালেন।
এই সিরিজ দিয়েই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। ফিরেই প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা। শেষ ম্যাচেও করেছেন অর্ধশতক; হয়েছেন সিরিজ সেরা। সাকিব জানিয়েছেন সবার সমর্থন পেয়েছেন এবং প্রথম ম্যাচ শেষেই আত্নবিশ্বাসী হয়েছেন।
সাকিবের কাছে অবশ্যই এই ফেরাটা বিশেষ কিছু। তিনি অবশ্য এই কৃতিত্ব সবাইকে দিয়েছেন। যেভাবে সবার সমর্থন পেয়েছেন, তাতে তিনি কৃতজ্ঞ বোধ করেছেন। আর ম্যাচ শেষে সাকিব বলেন, ‘আমি মনে করি পুরো ক্রেডিট কোচিং স্টাফ এবং সতীর্থদের। তাদের সমর্থন বিশেষ করে প্রথম ম্যাচে আমাকে সাহায্য করেছিলো। আমি সব সময় জানতাম যে আমার কিছু ম্যাচে সময় প্রয়োজন। কিন্তু প্রথম ম্যাচের পর যে আত্নবিশ্বাস দরকার তা আমি পেয়েছিলাম এবং পরে আরো উন্নতি করেছি।’
দীর্ঘ দিন পর খেলায় ফিরলেও ওয়ানডের বোলিং ইউনিট নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন সাকিব। সিরিজ জুড়েই দারুণ বোলিং করেছেন বোলাররা। তবে আজ কুঁচকিতে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন সাকিব। নিজের বোলিং কোটাও পূর্ণ করতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। তবে চোট নিয়ে এখনই কিছু জানাতে পারেননি সাকিব। বলেছেন অপেক্ষা করতে হবে ২৪ ঘন্টা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পেসাররা ও স্পিনাররা একে অপরের পরিপূরক। আমাদের এখন ওয়ানডে বোলিংয়ে ভালো সেটআপ রয়েছে। এখানে প্রচুর প্রতিযোগিতা রয়েছে যেটা স্ব্যাস্থ্যকর। কুঁচকিতে ভালো বোধ করছি না। তবে দেখতে হবে আগামীকাল সকালে ঘুম থেকে উঠে কেমন অনুভব করি। ২৪ ঘণ্টা পর বোঝা যাবে।’
সাকিবকে নিয়ে আলোচনাটা এখানেও থামানো যাচ্ছে না। এবার ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়ে কিছু মাইলফলক নিজের করে নিয়েছেন। অনেক রেকর্ডই আস্তে আস্তে একার করে নিচ্ছেন। মোট কথা, আগের মতোই ভরসা হয়ে আছেন তিনি দলের জন্য। কিন্তু এই ফর্মে থাকা সাকিবকে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড সফরে পাবে কি না, সে নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে।
তৃতীয়বারের মতো বাবা হতে চলেছেন সাকিব। সে জন্য আনঅফিশিয়ালি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে ছুটি চেয়েছেন বলে শোনা গেছে। সেটা সত্যি হলে নিউজিল্যান্ড সফরে পাওয়া যাবে না এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে। তাহলে আরেকবার আফসোসের কারণ হবেন তিনি।