পাকিস্তান ক্রিকেটে বিতর্ক নতুন কোনো ঘটনা না। ক্রিকেটারদের মধ্যে কোন্দল, বোর্ড প্রধানের বিভিন্ন মন্তব্য কিংবা অধিনায়ক ইস্যুতে দেশটি ক্রিকেট পাড়া যেন সবসময়ই টালমাটাল অবস্থায় থাকে। এই, যেমন হারিস রউফের বিগব্যাশ খেলার জন্য অনাপত্তিপত্র নিয়ে কম জলঘোলা হলো না।
অস্ট্রেলিয়ার এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হারিস খেলতে যেতে পারবেন কিনা তা বেশ কিছুদিন ধরেই ঝুলিয়ে রেখেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে অবশেষে বিগ ব্যাশ শুরুর আগেই বোর্ড থেকে অনাপত্তিপত্র বা এনওসি দেওয়া হয়েছে হারিস রউফকে। তাঁর সঙ্গে এনওসি পেয়েছেন উসামা মীর এবং জামান খানও।
যদিও পুরো টুর্নামেন্টের জন্য এই তিন বোলারকে অনাপত্তিপত্র দেয়নি পিসিবি। জামান খানকে অনাপত্তিপত্র দেয়া হয়েছে চার ম্যাচের জন্য। তিনি খেলবেন সিডনি থান্ডারের পক্ষে। আর উসামা মীর ও হারিস রউফকে দেয়া হয়েছে পাঁচ ম্যাচের জন্য। তারা দুইজন খেলবেন মেলবোর্ন স্টার্সের হয়ে।
তবে এতদিন কেন তাদের অনাপত্তিপত্র ঝুলিয়ে রাখা হলো তার সুস্পষ্ট একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে নিউজিল্যান্ড সিরিজ পর্যন্ত দেড় মাসের একটা গ্যাপ রয়েছে। হারিস রউফ এই সময়ে পাকিস্তানের হয়ে খেলবে না। আর বিগব্যাশে হারিস রউফের চুক্তি ৫ ম্যাচের। সে যেহেতু একজন ফাস্ট বোলার, তাই আমরা তাঁর ছন্দে থাকাটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। ৭ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সে ৫ টি ম্যাচ খেলবে। আর এরপরেই নিউজিল্যান্ড সিরিজে জন্য সে বিবেচিত হবে। মূলত এ কারণেই তাঁকে তাড়াহুড়ো করে এনওসি দেওয়া হয়নি।’
ভারতের মাটিতে সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে নিজের ছন্দে ছিলেন না হারিস রউফ। এক আসরে সর্বোচ্চ রান দেওয়ার বিব্রতকর রেকর্ডে তাঁর নাম বসেছে। স্বাভাবিক ভাবেই কম সমালোচনা হয়নি তাঁকে নিয়ে। তবে সেই আলোচনা আরও উসকে দিয়েছে তাঁর টেস্ট ক্রিকেট খেলার ক্ষেত্রে আপত্তিতে।
এক টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তাঁকে চেয়েছিলেন ওয়াহাব রিয়াজ। কিন্তু প্রথমে কথা দিয়েও দুই দিনের ব্যবধানে মত পাল্টে না খেলার সিদ্ধান্ত নেন। আর এতেই শুরু হয় বিতর্ক। যদিও তাতেও শেষ পর্যন্ত রউফকে ছাড় দিল পিসিবি।