ধোনি ফিনিশ ইট অফ ইন স্টাইল, ইন্ডিয়া লিফট দ্য ওয়ার্ল্ড কাপ আফটার টুয়েন্টি এইট ইয়ারস – ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে রবি শাস্ত্রী এই লাইন কোন ভারতীয় বোধহয় ভুলতে পারবেন না কখনো। কেননা ওয়াংখেড়ের সেই মুহুর্ত সবার হৃদয়ের গভীরে গেঁথে আছে, ঠিক যেমনটা গেঁথে আছে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির অপরাজিত ৯১ রানের সেই ইনিংস।
এক যুগের বেশি সময় পরেও ক্যাপ্টেন কুলের সেদিনের এই পারফরম্যান্স আলোচনার খোরাক জোগায়, সেই তুলনায় অবশ্য টুর্নামেন্ট সেরা যুবরাজ সিং কিংবা ফাইনালে ৯৭ রান করা গৌতম গম্ভীরকে নিয়ে ততটা মাতামাতি হয়না। এসব নিয়ে আবার অভিযোগ করতে কিপ্টেমি করেন না এই ওপেনার।
অনেকবারের মত এবার আরেকবার মুখ খুললেন তিনি, ভারতীয় এক পডকাস্টে তিনি বলেন, ‘আপনি এটা জানেন, আপনি আমাকে বলুন, ২০১১ সালের বিশ্বকাপের ‘ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট’ জিতেছেন এমন একজন ক্রিকেটারকে নিয়ে কয়জনই বা কথা বলে। হয়তো তাঁর ভাল পিআর এজেন্সি না থাকাটা এর কারণ।’
নিজের ইনিংস নিয়ে এই বাঁ-হাতি বলেন, ‘যেসব লোকজন ‘আন্ডাররেটেড’ বলে এটিকে (তাঁর ইনিংস) তাঁরাই আসলে কম মূল্যায়ন করে, কম প্রশংসা করে। পৃথিবীতে কিছুই আন্ডাররেটেড না।’
এরপর ব্রডকাস্টারদের দিকেও আঙুল তোলেন তিনি; জানান তাঁদের পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণের কথা। তাঁর মতে, নির্দিষ্ট কাউকে বাড়তি গুরুত্ব দেয়া উচিত নয়। এই ব্যাটার বলেন, ‘ব্রডকাস্টাররা কখনো পিআর মেশিন হতে পারে না। ড্রেসিংরুমে বসা সবার প্রতি তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি সমান হওয়া উচিত।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘ধরুন আমার কাছে একটা মেশিন রয়েছে এবং তিন ঘন্টার টাইম ফ্রেইমে দুজনকে দেখাতে হয় সেক্ষেত্রে আমি একজনকে ২ ঘন্টা ৫০ মিনিট হাইলাইট করলাম অন্যজনকে শুধু দশ মিনিট দিলাম। তাহলে কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই ২ ঘন্টা ৫০ মিনিট লাইমলাইটে থাকা ব্যক্তির ব্র্যান্ড ভ্যলু বাড়বে।’