নিউজিল্যান্ডে ভাগ্য পাল্টায়নি বাংলাদেশ দলের

এবারও হল না, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সাদা বলে পরাজয়ের ধারায় ছেদ টানতে পারলো না বাংলাদেশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টম লাথামদের ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে গিয়েছে সফরকারীদের বোলিং। পরবর্তীতে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানে হারের লজ্জা পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

মেঘলা আবহাওয়ায় আগে বল করতে নেমে শরিফুল ইসলাম সূচনাতেই দেখান নিজের ভেলকি। দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথম ওভারেই তুলে নেন দুই উইকেট। চতুর্থ বলে ইনফর্ম রাচিন রবীন্দ্রকে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন এই পেসার, এক বল পরেই হেনরি নিকোলসকে ফেরান তিনি। পাঁচ রানে দুই উইকেট হারালেও বাকি ইনিংস পুরোটাই ছিল নিউজিল্যান্ডের দখলে।

টম লাথাম আর উইল ইয়ং এর অবিশ্বাস্য এক জুটিতে কিউইরা কেবল প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে উঠেনি, উল্টো আধিপত্য বিস্তার করেছে টাইগার বোলারদের ওপর। শুরুটা অবশ্য তাঁরা করেছিলেন রয়ে সয়েই, দলীয় শতক পূর্ণ করতে তাই স্বাগতিকদের লেগে যায় ১৯ ওভার। কিন্তু এরপর বৃষ্টি বিরতি শেষে মাঠে নামতেই বদলে যায় দৃশ্যপট।

পরের এগারো ওভারে ১৩৫ রান জমা হয় স্কোরবোর্ডে, যার পিছনে মূল অবদান লাথাম এবং ইয়ংয়ের বিধ্বংসী ব্যাটিং। কিউই দলপতি করেন ৭৭ বলে ৯২ আর ডানহাতি ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৮৪ বলে ১০৫। শেষে আট বলে চার রান আউট হলে ২৩৯ রানেই থামতে হয় ব্ল্যাকক্যাপসদের।

জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ওভারেই হারায় সৌম্য সরকারকে। তবে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে খানিকটা আশা জেগে উঠেছিল, অধিনায়ক নাজমুল শান্ত আউট হওয়ার আগে সাবলীল মনে হয়েছিল দুজনকে। কিন্তু ১৫ রানে শান্ত আউট হলে ছন্দ হারায় বাংলাদেশ; বিজয়ও ইনিংস বড় করতে পারেননি, ফিরেছেন ৪৩ রানে।

মিডল অর্ডারে খেলা লিটন দাস বরাবরের মতই সেট হয়ে উইকেট দিয়ে এসেছেন। যদিও আজ যেভাব আউট হয়েছেন সেটাকে নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন তিনি। মুশফিকুর রহিম ব্যর্থ হলেও লাল-সবুজের ভরসা হয়ে ক্রিজে ছিলেন তাওহীদ হৃদয় আর আফিফ হোসেন। তাঁদের ৫৬ রানের জুটির কল্যাণে কিছু সময়ের জন্য হলেও বাংলাদেশকে ফেভারিট মনে হয়েছিল।

কিন্তু পর পর দুই ওভারে দুই তরুণ প্যাভিলিয়নে ফিরলে শেষ হয় বাংলাদেশের সব আশা। শেষপর্যন্ত মেহেদি মিরাজের ২৮ রানের কল্যাণে কোনক্রমে ২০০ রান ছুঁতে পারে টিম টাইগার্স। ফলত, ৪৪ রানের জয় পায় স্বাগতিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link