নয় নয় করে পেরিয়ে গেছে অনেকটা বছর। তবে আইপিএলের শিরোপা এখন পর্যন্ত অধরাই থেকে গিয়েছেন পাঞ্জাবের জন্য। এ সময়ের মধ্যে কিংস ইলেভেন নাম বদলে পাঞ্জাব কিংস হয়েছে। বহু তারকা ক্রিকেটারের আগমন ঘটেছে। আবার প্রস্থানও হয়েছে। তবে বদলায়নি পাঞ্জাব কিংসের শিরোপাভাগ্য। এবার সেই ভাগ্যটাই পাল্টাতে চান দলের অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান।
অতীত ভুলে নতুন শুরুর প্রত্যাশায় পঞ্জাব কিংস। আর সেটি নিয়েই সম্প্রতি ভারতীয় এক গণমাধ্যমে নিজের ভাবনা জানিয়েছেন ধাওয়ান। ২০২৪ আইপিএলের জন্য যে পরিকল্পনা আগেই এঁটে রেখেছেন তা ফুটে উঠেছে এ সাক্ষাতকারেই। তিনি বলেন, ‘আমি টিমওয়ার্কে বিশ্বাসী। যেহেতু লম্বা একটা টুর্নামেন্ট। তার জন্য স্ট্র্যাটেজিগত বদলও প্রয়োজন। ভাল একটা দল হয়েছে আমাদের। এখন প্রয়োজন খেলোয়াড়ের সক্ষমতা অনুযায়ী তাঁকে ঠিক জায়গায় প্রয়োগ করা। ব্যালান্সড একটা দল তৈরির জন্য এভাবেই সবাইকে প্রস্তুত করতে হবে।’
আইপিএলের ইতিহাসের বিরাট কোহলির পরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহ ব্যাটার হচ্ছেন ধাওয়ান। এখন পর্যন্ত আইপিএলের ১২ মৌসুমে ২১৬ ইনিংসে ৬৬১৬ রান করেছেন এ বাঁহাতি এ ব্যাটার। আইপিএলের মতো বড় টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটারদের তালিকায় উঠে আসাতে বেশ খুশি ধাওয়ান নিজেও। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দিল্লীর হয়ে শুরু করেছিলাম। এরপর ডেকান চার্জার্স, মুম্বাই, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলেছি। এ দীর্ঘ সময়কালে আইপিএল সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। পুরো বিশ্বের চোখ এখন এই টুর্নামেন্টের দিকে থাকে। তাই এমন একটা টুর্নামেন্টে শীর্ষ রানসংগ্রাহকদের মধ্যে থাকায় আমি গর্বিত।’
গত সপ্তাহেই ৩৮ বছর পেরিয়ে ৩৯-এ পা দিয়েছেন ধাওয়ান। জাতীয় দলে সুযোগ না পেলেও এখনও শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন তিনি। কীভাবে নিজেকে ফিট রাখছেন? এমন প্রশ্নে ধাওয়ান বলেন, ‘৩৮ বছর বয়সেও ফিট থাকার মূলে শারীরিক শ্রম, ডায়েট বেশি ভূমিকা রেখেছে। আই নিয়মিত ওয়েট ট্রেনিং করি। মেডিটেশন করি। এর সাথে নিজেকে খেলার মাঝেও রেখেছি। আমি নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করি। এ কারণেই এখন আমি খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।’