ইবাদত হোসেন যখন ইনজুরিতে পড়েছিলেন তখন ছিলেন সেরা ফর্মে; বলা যায়, ওয়ানডে আর টেস্ট ফরম্যাটে দলের সেরা পেসার ছিলেন তিনি। অথচ একটা ইনজুরি তাঁকে পিছিয়ে দিয়েছে যোজন যোজন, মাঠে ফেরার অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। এই দুঃসময়ে আরো আক্ষেপের খবর শোনা গেলো এবার, ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলতে পারবেন না ইবাদত।
ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। সেসময় হাটুতে চোট পেয়েছিলেন এই ডানহাতি। শুরুতে এর গুরুত্ব বোঝা না গেলেও পরবর্তীতে এমআরআই করে জানা যায় এসিএলের ইনজুরিতে পড়েছেন তিনি। তবু ভক্ত-সমর্থকদের আশা করেছিল, ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে কোনভাবে যদি সুস্থ হয়ে যান ‘সিলেট রকেট’।
কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়নি, বিসিবির মেডিকেল টিম ধারণা করেছিল হয়তো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে বা পরে মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি। সেই প্রত্যাশাতেই এতদিন অপেক্ষা করেছিল সবাই, কিন্তু বিপিএল তো দূরে থাক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও ফিট হয়ে পারবেন না এই পেসার; আর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
ইবাদতকে ওয়েস্ট-যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে পাওয়া যাবে না এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাপার সুদুর কল্পনাতেও বোধহয় করেনি কেউই। কিন্তু রিকভারি প্রক্রিয়া সন্তোষজনক গতিতে না হওয়ায় পূর্বানুমানের চেয়ে অনেক বেশি সময় পুনর্বাসনের মধ্যে কাটাতে হবে তাঁকে।
এশিয়া কাপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপের মত গুরুত্বপূর্ণ আসর খেলতে পারেননি চোটের কারণে। আবার বিপিএল, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দেখা যাবে না তাঁর আইকনিক স্যালুট। লাল-সবুজের ক্রিকেটপ্রেমীদের মুখ ভার করে দেয়ার জন্য এটুকুই বোধহয় যথেষ্ট।
ফুটবলের তুলনায় ক্রিকেটে এসিএলের ইনজুরি একেবারেই অনিয়মিত, এই ইনজুরি সম্পর্কে তাই জানতেনও না অনেকে। তবে ইবাদত হোসেন এক ঝটকায় প্রত্যেককে জানিয়ে দিলেন এটির ভয়াবহতা, যদিও প্রার্থনা করা ছাড়া এখন আর কোন কিছুই করার নেই সমর্থকদের।