ওয়ানডে সিরিজ শেষে এবার অপেক্ষা টেস্ট সিরিজের জন্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট দলটা ওয়ানডে দলের মতো এতোটা অনভিজ্ঞ নয়।
অনভিজ্ঞ দল নিয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সাথে হোয়াটওয়াশ হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচের একটিতেও নূন্যতম প্রতিযোগিতা করতে পারেনি সফরকারীরা। তবে ক্যারিবিয়ানদের টেস্ট স্কোয়াডে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছে। তাদের ভিতর কেমার রোচ একজন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনভিজ্ঞ দল নিয়ে আসলেও অভিজ্ঞতায় পূর্ণ বাংলাদেশ। তবে এগুলো নিয়ে না ভেবে রোচ মনোযোগ দিতে চান নিজেদের দিকেই। অভিজ্ঞ এই পেসারই টেস্ট সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস বিভাগকে। টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে রোচ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ পেস বোলারদের জন্য কঠিন জায়গা হলেও স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে সফল হওয়ার মন্ত্র জানা আছে তাঁর।
রোচ বলেন‘বাংলাদেশ ফাস্ট বোলারদের জন্য কঠিন জায়গা। এসব পিচে গতি বা মুভমেন্ট তেমন থাকে না। তাই বোলারদের ধারাবাহিকভাবে ঠিক জায়গায় বল করে যেতে হয়। ফ্রন্ট ফুটে ব্যাটসম্যানদের সোজা লেন্থে বল করতে হবে। বাংলাদেশে সফল হওয়ার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা তৈরি হবে তাতেই। বাংলাদেশের মিডল অর্ডারকে বিপদে ফেলতে হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিভার্স করতে হবে।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ টেস্টে ১৯.৭৮ গড়ে ৩৩ উইকেট নিয়েছেন কেমার রোচ। তবে বাংলাদেশের মাটিতে ৩ টেস্টে পেয়েছেন মাত্র ৪ উইকেট। টেস্ট স্কোয়াডের অনেকেই ছিলেন না ওয়ানডে স্কোয়াডে। তবে ১০ জানুয়ারি এক সাথেই বাংলাদেশে এসেছে তাঁরা দীর্ঘ সময় প্রস্তুতি নিতে। দীর্ঘ সময় অনুশীলন করার কারণে এবার বাংলাদেশের মাটিতে সফল হতে আশাবাদী কেমার রোচ।
তিনি বলেন, ‘অনেক পরিকল্পনাই করা হচ্ছে, মাঠে সেগুলো বাস্তবায়িত করতে হবে। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের সম্পর্কে আমরা জানি। অনেক বছর ধরেই একই দল নিয়ে তারা খেলছে। তাদের মূল যে ব্যাটসম্যানরা আছে তাদের নিয়ে আমরা এখন ভালো করেই জানি। বোলিং ইউনিটের আলোচনায় আমরা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের নিয়ে আলোচনা করব।’
করোনা ইস্যুতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা। ওয়ানডেতে ৯ জন ক্রিকেটার অভিষেকের পর টেস্টেও অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন ৪ জন ক্রিকেটার। তবে তুলনামূলক অনভিজ্ঞ হলেও টেস্টে ভালো করতে মুখিয়ে আছেন এই পেসার।
তিনি জানান, ‘দলটা একটু অনভিজ্ঞ, তবে ভালো করার জন্য যথেষ্ট। আমাদের নিজেদের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। ভালো একটি টেস্ট সিরিজ কাটানোর জন্য মুখিয়ে আছি।’
২০১৮ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬৪ রানে ও দ্বিতীয় ম্যাচে ইনিংস ও ১৮৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিলো ক্যারিবিয়ানরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের চার ইনিংসের ৪০ উইকেটের প্রতিটাই শিকার করেছিলেন স্পিনাররা। সিরিজে সাকিব আল হাসান ৯ উইকেট, মেহেদী হাসান মিরাজ ১৫ উইকেট, নাইম হাসান ৬ উইকেট ও তাইজুল ইসলাম শিকার করেছিলেন ১০ উইকেট।
এবারও বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াডে রয়েছে এই চার স্পিনারই। বাংলাদেশ এবারও স্পিন ট্র্যাক বানাবে এটাও জানা আছে রোচের। রোচ তাই আগেই জানিয়েছেন মূল কাজটা করতে হবে তাদের স্পিনারদেরই। তারা যতটা সম্ভব সহায়তা দিয়ে যাবেন।
ঢাকা এবং চট্টগ্রামে স্পিন ট্র্যাকে কি রকম সংগ্রাম করতে হবে তা ভালো করেই জানা আছে রোচের। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, ভালো একটি পরিকল্পনা এবং এর যথাযথ বাস্তবায়নে পাল্টাতে পারে পরিস্থিতি। ভালো জায়গায় টানা বল করে মিলতে পারে সাফল্য।