ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া

দ্বিতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় বাংলাদেশের সিরিজ হারের সম্ভাবনা আগেই শূণ্য হয়ে গিয়েছিল। তবে সমতায় থেকে নয়, সিরিজ জিতেই দেশে ফিরতে চেয়েছিল টাইগাররা। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে ইচ্ছে পূরণ হয়নি, তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বড় ব্যবধানেই হারতে হয়েছে তাঁদের। ১-১ ব্যবধানে ড্র হয়েছে সিরিজ।

টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিউই অধিনায়ক মিশেল স্যান্টনার। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করতে প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকারের উইকেট তুলে নেন টিম সাউদি। তিন নম্বরে নাজমুল হোসেন শান্ত প্রথম বলে চার মেরে ভাল কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ভাল শটও খেলেছেন কয়েকবার। কিন্তু অ্যাডাম মিলনেকে তেঁড়েফুড়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন কভার অঞ্চলে।

১৯ রান করা শান্ত যখন আউট হন দলের রান তখন মাত্র ৩১, অথচ আর কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। রনি তালুকদার, আফিফ হোসেনরা ফিরেছেন সেট হয়ে; তাওহীদ হৃদয় চেষ্টা করেছেন ঠিকই কিন্তু স্থায়ী হতে পারেননি বাইশ গজে। আরেক তরুণ শামীম হোসেনও হতাশ করেছেন।

সবমিলিয়ে ৮১ রানেই সাত উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ, লোয়ার অর্ডারের ছোট ছোট অবদানে কোনক্রমে দলীয় ১০০ ছুঁতে পারে সফরকারীরা। শেষ ব্যাটার হিসেবে রিশাদ আউট হলে ১১০ রানেই থামে শান্তদের ইনিংস, বোলারদের মধ্যে স্যান্টনার একাই নিয়েছেন চার উইকেট।

অল্প রানের টার্গেট, দ্রুত উইকেট তোলার বিকল্প ছিল না। অতিপ্রয়োজনীয় সেই কাজটাই করেছেন শেখ মেহেদী হাসান, ব্যক্তিগত টানা দুই ওভারেই টিম সেইফার্ট আর ড্যারেল মিশেলকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান তিনি। খানিক পরে শরিফুলও যোগ দেন তাঁর সাথে, দুজনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৩০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে ব্ল্যাকক্যাপসরা।

পরের উইকেটে অবশ্য ভাগ্যকে কৃতিত্ব দিতে হবে, দৌড়াতে গিয়ে দুই ব্যাটারের সংঘর্ষের সুবাদে চ্যাপম্যানকে রান আউট করতে সক্ষম হন মুস্তাফিজ। ক্রিজের আরেক পাশে অবশ্য অবিচল ছিলেন ফিন অ্যালেন; যদিও শরিফুলের হাত থেকে নিস্তার মেলেনি, বোল্ড হন ৩৮ রানে। বাংলাদেশ তখন তুলনামূলক এগিয়ে গিয়েছিল; কিন্তু অধিনায়ক শান্ত সাহসী সিদ্ধান্ত নেন, নিজেই বল করেন।

সেটার ফলাফল ভাল হয়নি, তাঁর ওভারে ১৪ রান নিয়ে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন জেমস নিশাম। ১৫তম ওভারে বৃষ্টি আঘাত হানার আগে স্যান্টনারের সঙ্গে তাঁর অবিচ্ছিন্ন ৪৬ রানের জুটিই কিউইদের জয় নিশ্চিত করে। এরপর আর খেলা মাঠে না গড়ালে ১৭ রানে জয় লাভ করে তাঁরা।

অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বল করতে আসায় শান্তকে দোষ দেয়াটা ভুল হবে; তানভির আর রিশাদ দুজনেই প্রথম ওভারে ব্যয়বহুল বোলিং করেছিলেন, সেজন্যই মূলত ঝুঁকি নিয়েছিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link