আগেই শোনা গিয়েছিল, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দায়িত্ব ছেড়ে দিবেন নাজমুল হাসান পাপন। এবার নবগঠিত সরকারের মন্ত্রী হিসেবে তিনি মনোনীত হওয়ায় সেই সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে। সেজন্য তাঁর উত্তরসূরি কে হবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা; অনেকের মতে, মাশরাফি বিন মর্তুজাই এই মুহূর্তে সেরা পছন্দ।
যদিও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা, বিসিবি সভাপতি হতে যে কাউকে পাড়ি দিতে হয় লম্বা একটা পথ। সে তুলনায় মাশরাফি এখনো পিছিয়ে আছেন যোজন যোজন। তাই তিনি নিকট ভবিষ্যতে বোর্ড সভাপতি হবেন এমন ভাবনা অযৌক্তিক।
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সংস্থাটির প্রধান হতে চাইলে আগে কাউন্সিলর হতে হয়। এবং পরবর্তীতে তাঁকে নির্দিষ্ট একটা সময় বোর্ডের পরিচালক পদে থাকতে হবে। কিন্তু ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক এখনো ক্রিকেট বোর্ডের সাথে আনুষ্ঠানিক কোন সম্পর্ক তৈরি করেননি; আপাতত তাই পরিচালক হওয়ার আগে কাউন্সিলর হতে হবে তাঁকে।
অনেকে মনে করেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চাইলে সরাসরি যে কাউকে বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। ব্যাপারটি আসলেই সত্য, দুইজন পরিচালক ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক মনোনীত হয়ে থাকেন। তবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটা ভুক্ত দুইজন স্বপদে বহাল আছেন আপাতত, ফলে মাশরাফি হুট করে ক্রিকেট বোর্ডে চলে আসতে পারবেন এমনটা ভাবা অযৌক্তিক।
সবচেয়ে বড় কথা, তিনি এখনো ক্রিকেট থেকে অবসর নেননি। কাগজে-কলমে যিনি এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, তাঁকে বোর্ডের কোন পদে নিয়োগ দেয়ার তো প্রশ্নই উঠে না। এর আগে শাহরিয়ার নাফিস ও আবদুর রাজ্জাক খেলা থেকে পুরোপুরি অবসর নিয়ে তারপর ছিলেন।
সবমিলিয়ে নড়াইল এক্সপ্রেস পরবর্তী নির্বাচনে বিসিবি বস হয়ে যাবেন এমন কোন সম্ভাবনা বা সুযোগ কিছুই নেই। চমকপ্রদ কিছু না ঘটলে বিসিবির সাথে জড়িত কোন ক্রিকেট কর্তাই বসতে যাচ্ছেন নাজমুল হাসান পাপনের আসনে।