দুয়ারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই আনুষ্ঠানিক ভাবে বিশ্বকাপের জন্য ‘সংগ্রাম’ শুরু করেছে পাকিস্তান। সংগ্রাম কারণ, বিশ্বকাপে সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সাফল্য নেই বললেই চলে।
দু:সময়ে বৃত্তবন্দী দলটা এই সিরিজ দিয়েই ঘুরে দাঁড়াতে চায়। আর তাই কিউইদের বিপক্ষে শক্তিশালী একাদশেরই আভাস দিয়েছে পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ানের সাথে ইনিংস শুরুর দায়িত্বে দেখা যাবে সায়িম আইয়ুবকে।
আর বাবর আজম খেলবেন তিনে। এরপর মিডল অর্ডার সামলাবেন ফখর জামান, আজম খান আর ইফতিখার আহমেদরা। লেট মিডল অর্ডারে দেখা যাবে আমির জামালকে। যিনি সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন। নিউজিল্যান্ড সিরিজে ফরম্যাট বদলে গেলেও তাঁর উপর ভরসা রাখছে পাকিস্তান।
এ দিকে কন্ডিশন বিবেচনায় ৪ পেসারের সাথে ১ স্পিনারকে নিয়েই মাঠে নামতে পারে শাহীন আফ্রিদির দল। একাদশে একমাত্র স্পিনার হিসেবে থাকতে পারেন উসামা মীর। আর ৪ পেসারের দলে শাহীন আফ্রিদির সাথে থাকতে পারেন হারিস রউফ ও জামান খান।
দলের চতুর্থ পেসার হিসেবে থাকবেন অলরাউন্ডার আমির জামাল। অবশ্য বিশ্বকাপে আশা জাগানিয়া পারফর্ম করলেও একাদশের বাইরে থাকার সম্ভাবনাই বেশি মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের।
মোহাম্মদ রিজওয়ান উইকেটরক্ষক হিসেবে দলে থাকলেও আভাস আছে এ ম্যাচে উইকেটের পিছনে দেখা যেতে পারেন আজম খানকে। আর শাহীনের ডেপুটি হিসেবে কাজ করবেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
এশিয়ান গেমস বাদ দিলে সবশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই সিরিজ খেলেছিল পাকিস্তান। ঘরের মাটিতে ৫ ম্যাচে সে সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গিয়ে শেষ দুটি ম্যাচ হেরে সিরিজ ড্র করেছিল পাকিস্তান। এবার দেখার পালা, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এই সিরিজে ঠিক কেমন করে পাকিস্তান। কিউই কন্ডিশনে পাকিস্তানের পরিসংখ্যান অবশ্য ভদ্রস্থই বলা যায়।
এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ১৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ৭ টিতে জিতেছে তাঁরা। এর মধ্যে ২০২২ সালে হওয়া সবশেষ সিরিজটি জিতেছিল পাকিস্তান। শাহীন আফ্রিদির দল নিশ্চয়ই সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতা রাখতে চাইবেন।