প্রথম ম্যাচে হোঁচট খেলেও ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেয়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। টান টান উত্তেজনার ম্যাচে ইমরুল কায়েসের হাফসেঞ্চুরির পর খুশদিল শাহর অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে ফরচুন বরিশালকে হারায় তাঁরা; এক বল আর চার উইকেট হাতে রেখে জিতেছে লিটন দাসের দল।
আগে ব্যাটিং নেমে ওপেনিংয়ে মেহেদি মিরাজকে সুযোগ দেয় বরিশাল। কিন্তু প্রথম বলেই আউট হন তিনি। আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল দারুণ সূচনা এনে দেয়ার চেষ্টা করেন ঠিকই, তবে ১৯ রান করে তাঁকেও সাজঘরে ফিরতে হয়। এর আগে তরুণ প্রীতম আউট হন, ফলে পাওয়ার প্লের মধ্যেই তিন উইকেট হারায় দলটি।
চতুর্থ উইকেটে সৌম্য সরকার আর মুশফিকুর রহিম ত্রাতা হয়ে উঠেন। দুজনেই ব্যাটিং করেন টি-টোয়েন্টি স্টাইলে। আর তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে ওঠে, ৩১ বলে ৪২ রান করে সৌম্য থামলেও সেই ভিতের উপর দাঁড়িয়ে ঝড় তোলেন ইনফর্ম মুশি। আগের ম্যাচের হাফসেঞ্চুরি এদিনও ৩৫ বলে পূর্ণ করেন অর্ধশতক।
শেষপর্যন্ত মুশফিকের ৬২ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ১৬১ রান জমা হয় স্কোরবোর্ড। যদিও লোয়ার মিডল অর্ডারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শোয়েব মালিকরা পারফরম করতে পারলে মোট রান ১৮০ এর বেশি হতে পারতো।
বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে দারুণ কিছু করতে হতো কুমিল্লার ওপেনারদের। মোহাম্মদ রিজওয়ান তাই করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ১৭ রান করা পাক ব্যাটারকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন দুনিথ ওয়েলেলাগে। পরের বলেই তাওহীদ হৃদয়কে আউট করেন এই স্পিনার; দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দলটি।
ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক লিটন সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে চেয়েছিলেন; তবে তাঁকে ১৪ রানের বেশি করতে দেননি খালেদ আহমেদ। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি তাঁর দল। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট শিকার করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নেয় খালেদরা।
কিন্তু ইমরুল লড়াই চালিয়ে যান, চার চার আর তিন ছয়ে আসরের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন তিনি। শেষদিকে জাকের আলীর ২৩ রান আর খুশদিল, ম্যাথু ফর্ডের ছোট ক্যামিওতে চার উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় পায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।