দুই পরাশক্তির লড়াইয়ে রংপুরের জয়

ধুঁকতে থাকা রংপুর রাইডার্স অবশেষে জয়ের পথে ফিরতে পেরেছে। ব্যাটারদের সম্মিলিত অবদানের পর বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে রুখে দিয়েছে তাঁরা। বিশ ওভারের রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে দুই পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল।

আগে ব্যাট করতে নেমে এদিনও রংপুরকে ভালো শুরু এনে দিতে ব্যর্থ হন ব্রেন্ডন কিং। যদিও টপ অর্ডারে সুযোগ পাওয়া ফজলে মাহমুদ রাব্বি দলকে চাপে পড়তে দেননি, বাবর আজমকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়েন তিনি। ৩৭ রান করে বাবর আউট হলে ভাঙ্গে এই জুটি। ততক্ষণে অবশ্য চ্যালেঞ্জিং স্কোরের ভিত পেয়ে গিয়েছিল টিম রাইডার্স।

অবশ্য ৩০ রান করা রাব্বি আউট হলে রানের গতি কিছুটা কমে আসে। কিন্তু পরবর্তীতে বোলিংয়ে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেনি কুমিল্লার বোলাররা, বিশেষ করে দলটির মূল বোলার মুস্তাফিজুর রহমান ডেথ ওভারে খরুচে বোলিং করেছেন। এর ফলে আজমতউল্লাহ ওমরজাই আর নুরুল হাসান সোহানরা শেষ তিন ওভারে ৫২ রান তুলতে সক্ষম হন।

শেষ পর্যন্ত আজমতউল্লাহর ২০ বলে ৩৬ আর সোহানের ৬ বলে ১৫ রানে ভর করে ১৬৫ রানের পুঁজি পায় সাকিব আল হাসানের দল। সিলেটের সাম্প্রতিক পিচ বিবেচনায় এই লক্ষ্য তাড়া করা বেশ কঠিন বটে।

সেই কঠিন কাজটা আরও কঠিন হয়ে যায় প্রথম ওভারে লিটন দাস আউট হলে। যদিও রিজওয়ান আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় তাঁর দল। এই দুজনে গড়েন ৫৯ রানের জুটি, তবে রান তোলার গতি সন্তোষজনক ছিল না। ফলে আস্কিং রান রেটের চাপ বাড়তে থাকে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে।

১৭ রান করে পাকিস্তানি উইকেটকিপার ফিরলেও হাফসেঞ্চুরি করেন অঙ্কন। আউট হওয়ার আগে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৫৫ বলে ৬৩ রান। তিনি যখন আউট জয়ের জন্য বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের প্রয়োজন ছিল ২২ বলে ৫৩!

প্রায় দুঃসাধ্য এই সমীকরণ তাড়া করে ম্যাচ জেতানোর কাজটা করতে পারেননি আর কোন ব্যাটার। তাওহীদ হৃদয় চেষ্টা করেছেন বটে, কিন্তু তাঁর ২৮ বলে ৩৯ রানের ইনিংস পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে কেবল। শেষ পর্যন্ত ১৫৭ রানে থামে কুমিল্লার যাত্রা, সেই সাথে ৮ রানে জয়ের স্বাদ পায় রংপুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link