বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএলে) দশম আসরে অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ড গড়লেন তামিম ইকবাল। বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটার হিসেবে এক হাজার ডট বল মোকাবিলা করেছেন তিনি। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৮ বলে দুই রানের ইনিংস খেলার মধ্য ডটের এক হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেছেন এই ওপেনার।
বিপিএল শুরু হওয়ার আগে দুইটি ভিন্ন রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। তাঁর সামনে সুযোগ ছিল প্রথম ব্যাটার হিসেবে এই টুর্নামেন্টে ৩০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করার, একইসাথে ১০০০ ডট বল পূর্ণ করার অপ্রত্যাশিত অর্জনের হাতছানিও ছিল তাঁর সামনে।
অবশ্য সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় মুশফিকুর রহিম ছিলেন তামিমের পাশেই, তাই প্রথম ক্রিকেটার হয়ে তিন হাজারি ক্লাবে ঢুকতে হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অবশিষ্ট রান করতে হতো এই বাঁ-হাতিকে। সেটা করতে পেরেছিলেন তিনি, আর এবার খেলে ফেললেন বিপিএল ক্যারিয়ারের ১০০০ তম ডট বল।
এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২৫০১ বল খেলে চট্টলার খান সাহেব ৩০৫৯ রান করেছেন, আর ১০০৩টি বলে কোন রান নেননি। অর্থাৎ তাঁর ডট বল খেলার হার প্রায় ৪০ শতাংশের বেশি। যদিও টপ অর্ডার ব্যাটারদের এত বেশি ডট বল খেলা অনিয়মিত কোন ঘটনা। বিশ্বজুড়ে সব ফ্রাঞ্চাইজি লিগেই সর্বোচ্চ ডট বলের রেকর্ড দখলে রেখেছেন কোন না কোন ওপেনার।
এই যেমন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে শিখর ধাওয়ান সর্বোচ্চ ১৯২৭টি ডট বল খেলেছেন, পাকিস্তান সুপার লিগে বাবর আজম ৭৮৮ বলে কোন রান নেননি। এছাড়া ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে লেন্ডল সিমন্স খেলেছেন ১০০৪টি ডট, বিগ ব্যাশে অ্যারন ফিঞ্চের নামের পাশে আছে ৯২৬টি।
তাই তো তামিম ইকবালকে নিয়ে হাসাহাসি করার তেমন কিছু নেই। যদিও অন্যদের তুলনায় তাঁর রান আর ডট বলের অনুপাত কম, তবু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাঁর ব্যাটিংকে একেবারে হাসির বস্তু ভাবা বড্ড বাড়াবাড়ি। নিজের দিনে বড় ইনিংস খেলার যে সামর্থ্য এই তারকার রয়েছে সেটাও দেশের গণ্ডিতে অতুলনীয়।