জেমস অ্যান্ডারসন বল করবেন আর প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপের কঠিন পরীক্ষা নেবেন না সে কি হয়? হওয়ার কথা নয়, নতুন বছরে প্রথমবার মাঠে নেমে এই কথাটাই আরেকবার প্রমাণ করে দিলেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটিং বান্ধব পিচে যেভাবে বল করেছেন, তাতে তাঁর বয়স নিয়ে সন্দেহ জেগেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে।
এদিন সবমিলিয়ে ১৭ ওভার বল করেছেন অ্যান্ডারসন, দিয়েছেন স্রেফ ৩০ রান। সেই সাথে শুভমান গিলের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। বর্নাঢ্য টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তাঁর ৬৯১তম উইকেট, আর এর মধ্য দিয়ে টানা ২২টি পঞ্জিকাবর্ষে উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়লেন এই পেসার।
২০০৩ থেকে লাল বলে অভিষেক হয়েছিল, এরপর প্রতি বছরই ব্যাটারদের প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর চেয়েও বেশি সময় ধরে টেস্ট খেলেছেন এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা কম হলেও, একেবারে নগন্য নয়। অন্তত দশ বারোজন রয়েছেন যারা দুই দশকের বেশি সময় সাদা পোশাকে খেলেছেন, কিন্তু প্রতি বছর উইকেট পাওয়ার কীর্তি নেই আর কারও।
৪১ বছর ২৮৭ দিন বয়সে বিশাখাপত্মনের মাটিতে পা রেখেছেন এই ইংলিশ পেসার। স্টেডিয়ামে তো বটেই, সমগ্র ভারতের কোন মাঠেই এত বেশি বয়সে পেস বোলিং করেননি টেস্ট ইতিহাসে আর কেউ। চলতি টেস্টে খেলা দুই স্পিনার শোয়েব বাশির ও রেহান আহমেদের জন্ম হয়েছিল যথাক্রমে ২০০৪ ও ২০০৩ সালে – আর তিনি টেস্ট ক্যাপ পেয়েছেন এই দুজনের জন্মের আগে।
এত সময় জুড়ে খেলার পরও এই ডানহাতির বোলিংয়ে ধার কমেনি। ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে তাঁর প্রথম স্পেল ছিল ৫-১-৬-০। দ্বিতীয় স্পেলে করেছেন আরো ছয় ওভার, নিয়েছেন উইকেট। পুরো দিনে তাঁকে কখনোই ম্লান মনে হয়নি, কখনোই ব্যাটাররা তাঁর ওপর আধিপত্য দেখাতে পারেননি।
প্রথম পেসার হিসেবে টেস্ট ফরম্যাটে ৭০০ উইকেট পূর্ণ করতে জেমস মাইকেল অ্যান্ডারসনের প্রয়োজন আর নয় উইকেট। বলা যায়, খুব শীঘ্রই এই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন। সময়ের সাথে লড়াই করে নিজেকে পারফরমারদের তালিকায় রেখেছেন তিনি, অবসরের আগ পর্যন্ত এভাবেই থাকবেন নিশ্চয়ই।