পাকিস্তান ক্রিকেটে এখন চলছে পরিবর্তনের হাওয়া। সেই ধারাবাহিকতায় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাবর-রিজওয়ান জুটি। যদিও সেই প্রক্রিয়ায় এখনও সাফল্যের মুখ দেখেনি পাকিস্তান।
তবে, এই প্রচেষ্টাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন স্বয়ং মোহাম্মদ রিজওয়ান। সম্প্রতি ওপেনিং জুটিসহ নানা বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। তাঁর মতে, যারা এভারেজের দিকে তাকায়, তাঁরা দিনশেষে এভারেজ ক্রিকেটারই থেকে যায়।
এ নিয়ে বিরাট কোহলির উদাহরণ টেনে তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘প্রথমত, কোনো একটা দলে খেলতে গিয়ে যদি আপনি নিজের কথাই বেশি ভাবেন, তাহলে আমার মনে হয় না আপনি সফল হবেন। যে শুধু নিজেকে টিকিয়ে রাখার চিন্তা করে বাঁচিয়ে খেলে, সে বেশি দূর যেতে পারে না। এগুলা এভারেজ ভাবনা। আর এই ভাবনার মানুষগুলা এভারেজই থেকে যাবে। বিরাট কোহলির কথাই ধরুন। তাঁর রানের গড় তো বেড়েই চলেছে। কিন্তু সে কি শুধু এটার উপরেই নজর দেয়? তাঁর ভাবনার পুরোটা জুড়েই থাকে দল। কারণ, বড় খেলোয়াড়েরা ভাবে দলের কথা, পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার কথা ভাবে।’
টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডেতে ভিন্ন ভূমিকায় নামতে হয় রিজওয়ানকে। টি-টোয়েন্টিতে টপ অর্ডারে ব্যাটিং করলেও ওয়ানডেতে তাঁকে সামলাতে হয় মিডল অর্ডার।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘দল চায় আমি যেন স্কোরবোর্ড অনুযায়ী খেলি। আমিও ওটা মেনেই খেলতে পছন্দ করি। ব্যক্তিগত জীবনেও এটা আমার দর্শন। তবে হ্যাঁ, সব সময় সহজ নয় কাজটা। টি-টোয়েন্টিতে নতুন বলে খেলা এবং ওয়ানডেতে ২৫ ওভারের পর যাওয়া, যখন বল অনেকটাই পুরোনো হয়ে যায়, দুটোর সঙ্গে তাল মেলানো কঠিন। তবে এর পুরোটাই মনস্তাত্ত্বিক বিষয়।’
এরপর বাবরের সাথে তাঁর জুটি ভাঙা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ইতিবাচকভাবেই দেখছি। এ নিয়ে সমালোচনা করা উচিত নয়। ম্যানেজমেন্টের কথা সবাই ভুল বুঝেছে হয়তো। ম্যানেজমেন্ট এবং অধিনায়ক বলেছেন, বিশ্বকাপের সেরা একাদশটা কেমন হতে পারে, সেটাই তাঁরা দেখতে চাইছেন। আমরা ডানহাতি-বাঁহাতি সমন্বয় চেষ্টা করছি। সায়িম আইয়ুব বাঁহাতি ও বাবর আজম ডানহাতি। ফখর জামানও আছে। বিশ্বকাপের জন্যই আমরা ডানহাতি-বাঁহাতি সমন্বয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছি। আমি এটাকে ভুল সিদ্ধান্ত মনে করি না। এখন প্রত্যেকটা দেশই রাইট হ্যান্ড-লেফট হ্যান্ড কম্বিনেশন তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে।’