বেশ হইচই জাগিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অংশ নিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তাঁকে অধিনায়ক করেই দল সাজিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স, তবে ভরসার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। তাঁর নেতৃত্বে একের পর এক ম্যাচ হেরেছিল দল। এরই মাঝে গত ৩১ জানুয়ারি খেলা থেকে বিরতি নেন মাশরাফি, ধারণা করা হয়েছিল রাজনৈতিক ব্যস্ততা শেষে হয়তো আবারো ফিরবেন।
কিন্তু এবার জানা গেলো ভিন্ন তথ্য, চলতি বিপিএলে আর খেলতে আসছেন না তিনি। এই নিয়ে সিলেটের হেড কোচ রাজিন সালেহ বলেন, ‘না, ওর আসলে চান্স খুবই কম। সত্যি কথা বলতে অফিস নিয়ে ও ব্যস্ত। যেহেতু সে এখন পারবে না হয়তো পরবর্তী বছর সে ভালোভাবে কামব্যাক করবে।’
মানে, এখানেই মাশরাফি অধ্যায়ের ইতি নয়। আগামী বছর খেলার ইচ্ছা রাখেন তিনি। চলতি আসরেই মাশরাফির ফিটনেস নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। আগামী বছর বয়সটাও আরও বাড়বে। সেই সময় গিয়ে বিপিএল খেলা কতটা যুক্তিসঙ্গত – সেই প্রশ্ন থেকেই যায়!
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মত সংসদ সদস্য হয়েছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। এরপর সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় সংসদের হুইপ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় তাঁকে। সেজন্যই বিপিএলের এই সময়টাতে রাজনৈতিক ব্যস্ততা বাড়ে তাঁর। ফলে ছাড়তে হয় দেশের ঘরোয়া অঙ্গনের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ।
অবশ্য বিরতি নেয়ার সময় স্ট্রাইকার্স কতৃপক্ষ আশা করেছিল তিনি পুনরায় খেলায় ফিরবেন। সিলেট স্ট্রাইকার্স তাঁদের বিবৃতিতে জানিয়েছিল, যদি রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার বাইরে সময় দিতে পারেন সেক্ষেত্রে আবারও বিপিএলে যোগ দেবেন এই লিগে চারবার শিরোপা জেতা এই অধিনায়ক। মাশরাফির প্রতি নিজেদের কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করে ফ্রাঞ্চাইজিটি।
যদিও চলতি আসরে ম্যাশের খেলা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল আগ থেকে। মোহাম্মদ আশরাফুল, আকরাম খানের মত ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব সরাসরি সমালোচনা করেছিলেন এটি নিয়ে; আবার সৈয়দ রাসেল সমালোচকদের এক হাত নিয়েছিলেন।
এখন দেখার বিষয়, মাশরাফি মর্তুজা আদৌ আর কখনো বাইশ গজে ফেরেন কি না। এখনি তাঁর বয়স আর ফিটনেস বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, আগামী বছর তাই মাঠে নামা আরো কঠিন হয়ে যাবে। তাই প্রত্যাশা না রেখেই অপেক্ষা করাটা সমীচীন বোধহয়।