বিপিএল থেকে খুলনা টাইগার্সের একরকম বিদায় ঘন্টা বেজে গিয়েছিল চট্টগ্রাম পর্ব শেষেই। কঠিন যে সমীকরণ যা একটু টিকে ছিল, সেটিও নিঃশেষ হয়ে যায় রাউন্ড রবিন লিগের শেষ দিনের প্রথম ম্যাচে বরিশালের জয় পাওয়ার কারণে। তবে খুলনার প্লে-অফ থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ের দিনেই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।
গোটা টুর্নামেন্ট নিষ্প্রভ এ ক্রিকেটার অবশেষে এসে পেলেন ফিফটির দেখা। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে খেললেন ৩২ বলে ৫২ রানের ইনিংস। তবে গুরুত্বহীন ম্যাচে সে ইনিংসও পরাজয় এড়াতে পারলো না খুলনার। টানা ৪ ম্যাচে জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করা দলটির শেষ ৮ ম্যাচে ৭ হারে ঠাঁই হয়েছে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে।
আফিফ জাতীয় দলে অনিয়মিত বিশ্বকাপের আগে থেকেই। তবে ফেরার রাস্তা খোলা ছিল সব সময়ই। তরুণ এ ব্যাটার সেই সুযোগটাই হেলায় হারিয়েছেন। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে বিপিএলটাই ছিল প্রমাণ করার মঞ্চ। কিন্তু চোখে পড়ার মতো পারফর্মই করতে পারেননি এ ব্যাটার।
দলের প্রয়োজনের সময়ে হাল ধরতে পারেননি। প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ব্যবধান গড়ার মতো এক্স ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেননি। ব্যাট হাতে যখন ফিরলেন, তখন দল দাঁড়িয়ে রয়েছে বাদ পড়াদের কাতারে। খুলনা টাইগার্সের আক্ষেপটা তাই হওয়াটাই অনুমেয়। কেননা, দুই এক ম্যাচে আফিফ পারফর্ম করতে পারলেই প্লে-অফের চিত্রটা পাল্টে যেতে পারতো।
অবশ্য নিজেদের শেষ ম্যাচে এসে আফিফই তাদের মান বাঁচিয়েছে। ওপেনিংয়ে নামা এ ব্যাটারকে এ দিন কেউ উইকেটে সঙ্গই দিতে পারেনি। তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও আফিফ ঠিকই তাঁর অর্ধশতক তুলে নেন। ফিফটি পূরণের পর আফিফকেই উইকেটে বেশি প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বাঁহাতি এ ব্যাটারের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে ৫২ রানেই। যে ইনিংস খেলার পথে সাবলীলই ছিলেন তিনি। খেলেন ৩ টা চার ও ৪ টা ছক্কার মার। তবে আফিফ আউট হওয়ার পরই থেমে যায় খুলনার রান যাত্রা। ১২৮-এই আটকে যায় তাদের ইনিংস।
এবারের বিপিএলে সব মিলিয়ে ২৭৮ রান করেছেন আফিফ। খুলনার হয়ে বিজয়ের পর তাঁর রানই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তবে ঘাটতি ছিল ইম্প্যাক্টফুল ইনিংস খেলার ক্ষেত্রে। গড়পড়তা পারফরম্যান্সেই তাই বিপিএল শেষ হয়েছে তাঁর। অবশ্য ক্যারিয়ার জুড়ে উঠানামার মধ্যেই আছেন তিনি। ক্যারিয়ারও তাই দীর্ঘ সময়ের দিকে এগোনোর পথে নেই। আফিফ নিশ্চয়ই পরের বিপিএলে শুধু উত্থানের গল্পই লিখতে চাইবেন।