অনলাইনে খাবার কেনা এখন প্রায় সবারই নিত্যদিনের কাজ, তবে দীপক চাহার সাধারণ কাজটা করতে গিয়েই পড়লেন ভোগান্তিতে। অর্ডার করা খাবার তাঁর হাতে পৌঁছায়নি, স্রেফ হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে। আর এই অদ্ভুত খবর ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়তে বাকিরাও জানাতে শুরু করেন নিজেদের বাজে অভিজ্ঞতাটার কথা। সবমিলিয়ে একট বিতর্কের ঝড় সৃষ্টি হয়েছে ‘জোমাটো’ সার্ভিসকে ঘিরে।
আগ্রার একটি রেস্তোরাঁ থেকে জোমাটোর মাধ্যমে খাবার অর্ডার করেছিলেন চাহার। এরপর হুট করেই তিনি দেখতে পান তাঁর অর্ডারের পাশে ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে এমন মন্তব্য লেখা, অথচ তখনো খাবার হাতে পাননি তিনি। স্বাভাবিকভাবেই সে সময় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এই তারকা, আশ্চর্যের ব্যাপার তাঁকেই মিথ্যে বলার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিল তাঁরা।
ফলে অর্ডারের স্ক্রিনশট তুলে পুরো ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে দেন তিনি। অল্প সময়ের ব্যবধানে তাঁর পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, সেখানে আবার অনেকে জানান নিজেদের ভোগান্তিতে পড়ার অনেক কাহিনী।
এতে টনক নড়ে জোমাটোর, তাৎক্ষণিকভাবে চাহারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষমা চায় তাঁরা। কিন্তু তিনি তখন স্রেফ ক্যাশব্যাক বা আর্থিক ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে পুরো ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি তোলেন। গ্রাহকদের এসব কারণে যেসব সমস্যার মুখোমুখি পড়তে হয়, সেসব সমস্যাগুলো সমাধান করতে বলেন এই পেসার।
তাঁর অভিজ্ঞতা আসলে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে ব্যবহারকারীদের সম্পর্কের গভীরতা তুলে ধরেছে। দুই পক্ষের মাঝে বিশ্বাসের ঘাটতি আছে, এর পিছনেও দায়ী এসব নেতিবাচক ঘটনা। এভাবে চলতে থাকলে আরো অনেকভাবেই ঝামেলায় পড়তে হতে পারে।
দীপক চাহারের এই ঘটনা সব অনলাইন প্ল্যাটফর্মের জন্য সতর্কবার্তা বটে। গ্রহীতাদের সাথে বোঝাপড়া বৃদ্ধি, কাস্টমার সার্ভিস এসব ক্ষেত্রে তাঁদের আরো গুরুত্ব দিতে হবে। আগামী দিনগুলোতে মানুষ আরো অনলাইন নির্ভর হবে, তাই নির্ভরযোগ্যতা, বিশ্বাসযোগ্যতা আরো বাড়াতেই হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।