এলিমিনেটরের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারলো না চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই হতশ্রী পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে তাঁরা। অন্যদিকে, তামিম ইকবালের অনবদ্য হাফসেঞ্চুরি আর অলরাউন্ডার কাইল মায়ার্সের কল্যাণে সাত উইকেট আর ৩১ বল হাতে রেখে বিশাল জয় তুলে নিয়েছে বরিশাল।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ইনফর্ম তানজিদ হাসান তামিমকে হারায় চট্টগ্রাম; মাত্র দুই রান করে আউট হন এই তরুণ। টুর্নামেন্ট জুড়ে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ ইমরানউজ্জামান এদিনও পারেননি ভরসার প্রতিদান দিতে। একপ্রান্ত আগলে অবশ্য রান তুলেছিলেন ওপেনার জস ব্রাউন, কিন্তু ৩৪ রান করে তাঁকেও থামতে হয়েছিল।
৫২ রানে তিন উইকেট হারানোর পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। টম ব্রুস, সৈকত আলীরা সেট হয়েও দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখাতে পারেননি। অধিনায়ক শুভাগত হোমেল চেষ্টা করেছিলেন ভাল কিছু করার, তাঁর ১৬ বলে ২৪ রানের ইনিংসে দলীয় শতক পূর্ণ হয় চ্যালেঞ্জার্স বাহিনীর।
শেষদিকে আর কেউ বোলারদের উপর ছড়ি ঘোরাতে পারেননি, যদিও রোমারিও শেফার্ড আর নিহাদুজ্জামান দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন। তাতেই ১৩৫ রানের পুঁজি জমা হয় বোর্ডে।
এমন লক্ষ্য তাড়া করা মোটেই কঠিন কিছু নয়, তবে সৌম্য সরকারের উইকেট তুলে নিয়ে শুভাগত লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেন। কিন্তু সেটা শাপে বর হয়ে আসে বরিশালের জন্য, তিন নম্বরে নামা কাইল মায়ার্স রীতিমতো টর্নেডো সৃষ্টি করেন মিরপুরে; প্রতিপক্ষের অধিনায়ক শুভাগতের এক ওভারেই ২৬ রান আদায় করেন তিনি। আরেক প্রান্তে তামিমও রান তুলতে থাকেন আগ্রাসী মেজাজেই।
দুজনের কল্যাণে পাওয়ার প্লেতেই দলটির সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭৩ রান, ম্যাচের ভাগ্য তখনি নির্বারণ হয়ে গিয়েছিল। দশম ওভারে আউট হওয়ার আগে মাত্র ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন মায়ার্স, তাঁর বিদায়ের পর বাইশ গজে আসেন ডেভিড মিলার। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। অন্যপ্রান্তে খান সাহেব অবিচল থেকে তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি।
শেষপর্যন্ত তাঁর অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংস ভর করে চট্টগ্রামকে হারাতে সক্ষম হন মুশফিক, মাহমুদউল্লাহর দল। আর এই জয়ে ফাইনালে ওঠার পথে একধাপ এগিয়ে গেল তাঁরা – এখন অপেক্ষা শুধু দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের।