ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়েই ফিরতে চেয়েছিলেন মোহাম্মদ শামি। কিন্তু গোড়ালির চোটে আইপিএল তো বটেই, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও মিস করতে পারেন এ পেসার।
তবে শামির এভাবে মাঠ থেকে ছিটকে যাওয়া বড় একটা ধাক্কা বোধহয় পেতে যাচ্ছে গুজরাট টাইটান্স। আইপিএলে গত মৌসুমে ২৮ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন এ পেসার।২০২৪ আইপিলে যেহেতু তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না, তাই অল্প সময়ের মাঝেই বিকল্প খুঁজে নিতে হচ্ছে গুজরাট টাইটান্সকে।
সেই তালিকায় আপাতত এগিয়ে রয়েছেন ঈশান পোড়েল, কমলেশ নগরকোটি ও বরুণ অরুণ। ২০২৪ আইপিএলের নিলামে এ তিন পেসারই ছিলেন অবিক্রীত। তবে শামির অনুপস্থিতিতে যে কেউ-ই এই শূন্যস্থান পূরণ করতে পারেন।
পাঞ্জাব কিংসের হয়ে ২০১৯ আইপিএলে সুযোগ পেয়েছিলেন ঈশান পোড়েল। তবে সে আসরে একটি মাত্র ম্যাচেই সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। এরপর আর আইপিএলে সুযোগই পাননি। অবশ্য পিঠের ইনজুরিতে পড়ে ক্যারিয়ারের সিংহভাগ সময়েই মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে এ পেসারকে।
তবে, এখন আবার নিয়মিত হয়ে উঠছেন। সব মিলিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২৯ বলে ৪০ উইকেট নেওয়া ঈশান পোড়েল গুজরাট টাইটান্সের রাডারে আসতে পারেন যে কোনো সময়েই। ২০১৮ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ঈশান পোড়েলের সাথেই খেলেছিলেন আরেক পেসার কমলেশ নগরকোটি।
খুব দ্রুতই লাইমলাইটে এসে দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে এ পেসারের। তবে কলকাতা ও দিল্লীর হয়ে দুটি আসর খেললেও ধারাবাহিকতার অভাবে এবারের আসরে তিনি অবিক্রীতই রয়ে গিয়েছেন। অবশ্য মোহাম্মদ শামির ইনজুরিতে খুলে যেতে পারেন তাঁর আইপিএল ভাগ্য।
২০২২ আইপিলে গুজরাট টাইটান্সের শিরোপা জয়ী দলে ছিলেন বরুণ অরুণ। তবে এরপর টানা দুই আসর ধরে অবিক্রীত রয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে গতির সাথে তাঁর বোলিং আগ্রাসন গুজরাটে শামির অভাব পূরণ করতে পারে দারুণ ভাবেই।
যদিও, আইপিএল ক্যারিয়ারে ৫২ ম্যাচে মাত্র ৪৪ উইকেট প্রাপ্তি এ পেসারের। তবে জাতীয় দলের খেলাসহ গুজরাটের হয়ে এর আগে খেলার অভিজ্ঞতার কারণে আবারো সুযোগ পেতেই পারেন এ পেসার।