পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের পদটা আপাতত খালি। আর এই পদের জন্য হন্যে হয়ে যোগ্য কাউকে খুঁজছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। দৌঁড়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে এগিয়ে আছেন বিদেশিরাই।
জোড়ালো ভাবে শোন যাচ্ছে কয়েকজনের নাম। সবচেয়ে বেশি যে নামটা বেশি আসছে তিনি হলেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক শেন ওয়াটসন। ওয়াটসন এই মুহূর্তে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দল কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের কোচ। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) কাজ করে থাকেন তিনি। আর নিজের সমৃদ্ধ একটা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারও ছিল।
পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, পিসিবি এই মুহূর্তে ওয়াটসনের সাথে আলোচনা চালাচ্ছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির সাথে বসবেন ওয়াটসন। সেখানে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কিছু টার্মস নিয়ে তাঁরা আলাপ করবেন – এরপরই আসবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
সূত্র জানাচ্ছে, সব ঠিক থাকলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন এপ্রিলের হোম সিরিজেই নতুন কোচের অধীনে খেলবে পাকিস্তান। ওয়াটসন ছাড়াও আলোচনায় আছেন আরও দু’জন। তারা হলেন নিউজিল্যান্ডের মাইক হেসন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন স্যামি।
নিউজিল্যান্ডের সাবেক কোচ হেসন এখন পিএসএলে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের কোচ। এর আগে আইপিএলে পাঞ্জাব কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু দলে কাজ করার অভিজ্ঞতাও আছে তাঁর। এমনকি একটা সময় ভারত ও বাংলাদেশের কোচ হওয়ার আলোচনায়ও ছিলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সামনে সাক্ষাৎকারও দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, দু’বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি এখন পেশোয়ার জালমির কোচ। লম্বা সময় পিএসএল খেলার ফলে, পাকিস্তানের ক্রিকেট কাঠামোর ব্যাপারে ভাল বোঝাপড়াও আছে তাঁর। ফলে, দু’জনের কোচিংয়ের ওপরই ভরসা আছে পিসিবির।
আরেকটা নামও আছে হিসাব-নিকাশে। তিনি স্বয়ং স্যার ভিভ রিচার্ডসন। তবে, কোচ হিসেবে নয়, কিংবদন্তি এই ক্যারিবিয়ানকে দেখা যেতে পারে পাকিস্তান দলের মেন্টর হিসেবে।
পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি, কোচিং স্টাফ দলে বিদেশি ও পাকিস্তানি কোচদের সমন্বয় রাখতে চান। ফলে, কোচিং দলের বাকি পদ গুলোতে সম্ভবত পাকিস্তানি কোচরাই বহাল থাকবেন।
গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর কোচিং স্টাফ দলকে বরখাস্ত করে পিসিবি। এরপর উমর গুল ও সাঈদ আজমলকে দেওয়া হয় বোলিং কোচের দায়িত্ব। কোচ হিসেবে কিছুদিন মোহাম্মদ হাফিজ দায়িত্ব পালন করলেও তাকেও আপাতত সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তাই, দুয়ারে যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তখন নতুন কোচ খুঁজতেই হচ্ছে পাকিস্তানকে। আর সেটা তাঁরা সুরাহা করে ফেলতে চায় মাস খানেকের মধ্যেই।