স্ট্রাইক রেট – মারকাটারির টি-টোয়েন্টি যুগে একজন ব্যাটারের সবচেয়ে বড় চারিত্রিক সনদ পত্র। বিশেষ করে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যুগে স্ট্রাইক রেট বাড়িয়ে নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। তবে ভারতীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটার কেএল রাহুল তাঁর স্ট্রাইক রেটের প্রতি ঠিকঠাক সুবিচার করতে পারছেন না।
দীর্ঘ এক বছর পর ইনজুরি থেকে ফিরে এসেই লখনৌ সুপার জায়ান্টসের উইকেটরক্ষক আর ওপেনার হিসেবে দায়িত্ব পায় রাহুল। যদিও বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া তার উপর দায়িত্ব কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল।
রাহুল ভারতের হয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেন ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তাই আশা করা হচ্ছিল তিনি এবার লখনৌয়ের মিডল অর্ডার সামলাবেন। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে তিনি উইকটরক্ষক আর ওপেনিং ব্যাটারের দায়িত্ব পান।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চতুর্থ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের দেয়া ১৯৪ রানের বিপরীতে লখনৌ ৬ উইকেটের বিনিময়ে করে ১৭৩ রান। যেখানে অধিনায়ক রাহুল করেন ৪৪ বলে ১৩১.৮১ স্ট্রাইক রেটে ৫৮ রানের ইনিংস। তাঁর সেই ইনিংসে ছিল ২ টি ছয় আর ৪ টি চারের মার।
২০২২ সাল থেকে হিসাব করলে, পাওয়ার প্লে’তে লখনৌ সর্বনিম্ন স্ট্রাইক রেট (১১৯.০) এবং দ্বিতীয় সর্বনিম্ন গড়রান (২৮.৬৪) সংগ্রহকারী দল।
আইপিএলে ২০২২ সাল থেকে ২৭ মার্চ, ২০২৪ পর্যন্ত করা এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পাওয়ার প্লে-তে শীর্ষ ওপেনিং ব্যাটারদের তালিকার সবচেয়ে নিচের নামটি কেএল রাহুলের।
তিনি ২৩ ইনিংসে ৫০.৭১ গড়ে ১০৮.৮৯ স্ট্রাইক রেটে করেন ৩৫৫ রান। শীর্ষে আছেন গুজরাট টাইটান্সের শুভমান গিল , রয়্যাল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গলুরুর ফাফ ডু প্লেসিস আর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ঈষাণ কিষাণ। তাদের প্রত্যেকের স্ট্রাইক রেট ১৩০ এর উপরে।
লখনৌয়ের হয়ে ম্যাচ জয়ী কোনো অর্ধ-শতক নেই রাহুলের। বরং ২০২২ সালে এলিমিনেটরে বেঙ্গলুরুর বিপক্ষে করা ৫৮ বলে ৭৯ রানের ইনিংসটি দর্শকদের হতাশার কারণ হয়।
সেই ম্যাচে ২০৮ রান তাড়া করতে নেমে লখনৌ ৬ উইকেটে ১৯৩ রান করতে সমর্থ হয়। তবে আইপিএলে রাহুলের সবচেয়ে সফল মৌসুম ছিল ২০১৮ সালে। যেখানে তিনি ১৫৮.৪১ স্ট্রাইক রেটে করেন ৬৫৮ রান।
টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় জয়সওয়াল, গাইকোয়াড় আর গিলরা তাঁকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। তাই রাহুলকেও তাঁর ব্যাটিং আর স্ট্রাইক রেট নিয়ে এখন থেকেই কাজ করতে হবে।