প্রিয় ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে উজ্জ্বল ডি কক

বয়সটা মাত্র ৩১, এখনো দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটকে দেয়ার অনেক কিছু ছিল কুইন্টন ডি ককের মাঝে। অথচ গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ দিয়ে ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে সরে গিয়েছিলেন, টেস্ট খেলেন না অনেক আগ থেকেই। কারণটা না বললেও জানা যায় – ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের চাহিদা মেটাতেই দীর্ঘ সংস্করণের ক্রিকেটে এত অনীহা তাঁর।

সব বিতর্ক পাশে সরিয়ে নিজের আগ্রহের মঞ্চে অবশ্য পারফরম্যান্স করছেন এই বাঁ-হাতি। এইতো পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে খেললেন ৩৮ বলে ৫৪ রানের একটা ইনিংস, দলকে ভাল শুরু এনে দেয়ার কঠিন কাজটা সহজভাবেই করলেন তিনি। পাঁচ চার ও দুই ছয়ে সাজানো এই ইনিংসের সৌজন্যে লক্ষ্মৌ সুপার জায়ান্টস শেষপর্যন্ত দুইশ রানের গন্ডি লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পেরেছে।

এদিন ওপেনিংয়ে নেমে স্যাম ক্যারানকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের খাতা খুলেছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এরপর ইনফর্ম কাগিসো রাবাদার ওভারে মেরেছেন এক চার ও এক ছয়। পাওয়ার প্লে শেষে স্ট্রাইক রোটেটের দিকে মনোযোগী হন তিনি, সেই সাথে বাজে বলকে উপযুক্ত শাস্তি দিতেও ভোলেননি।

তেরোতম ওভারে এসে আইপিএল ক্যারিয়ারের একুশতম ফিফটির দেখা পান এই ওপেনার। যদিও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন, ৫৪ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। ততক্ষণে অবশ্য দলীয় রান পৌঁছে গিয়েছিল ১২৫-এ, অর্থাৎ দলকে ভাল অবস্থানে পৌঁছে দিয়ে তবেই মাঠ ছেড়েছেন তিনি।

গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে অন্যতম সেরা রান সংগ্রাহক ছিলেন প্রোটিয়া তারকা। ১০ ইনিংস খেলে করেছিলেন ৫৯৪ রান, তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ৫৯.৪ আর স্ট্রাইক রেট ১০৭.২! পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে কতটা বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন তিনি সেটি এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, তবু আন্তর্জাতিক ওয়ানডেকে বিদায় বলতে দুইবার ভাবতে হয়নি তাঁকে।

টি-টোয়েন্টি লিগে কুইন্টন ডি ককের পারফরম্যান্স দেখে সেজন্য আক্ষেপ করতেই পারে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটের ভক্ত-সমর্থকেরা। তাঁর মাপের একজন ব্যাটারকে এত আগেই হারাতে হবে সেটা বোধহয় ভাবেনি তাঁরা, তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখনো খেলছেন তিনি। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁকে ঘিরে বড় স্বপ্ন বুনছে প্রোটিয়ারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link