কানাঘুষা ছিল। অবশেষে সকল গুঞ্জন সত্য হয়ে ধরা দিয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট পেয়ে গেছে তাদের নতুন অধিনায়ক। কোন রকম রসহ্যভেদ নয়, যেমনটি শোনা যাচ্ছিল হয়েছে ঠিক তেমনই। বাবর আজমের হাতেই উঠেছে পাকিস্তানের অধিয়ানায়কত্ব। তবে এবার তিন ফরম্যাটে নয়। স্রেফ সাদা বলের ক্রিকেটে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেবেন বাবর।
পরিবর্তন এসেছিল পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডে। সংস্থাটির নতুন চেয়ারম্যান হয়েছিলেন মহসিন নাকভি। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পরই অধিনায়ক পরিবর্তনের একটা আভাস দিয়েছিলেন। মূলত সাদা বলের অধিনায়ক পরিবর্তন করবার এক অদৃশ্য চাপও অনুভব করছিলেন তিনি। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন বাবর। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন দুইজন। সাদা বলের ক্রিকেটের দায়িত্ব পেয়েছিলেন শাহীন শাহ আফ্রিদি।
তবে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়ে সফলতার দেখা তিনি পাননি এখন অবধি। তাইতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান নতুন অধিনায়কের দিকে ঝুঁকবে বলেই গুঞ্জন রটেছিল। বেশ কিছু নাম শোনা গিয়েছিল নতুন অধিনায়ক হিসেবে। যার মধ্যে মোহাম্মদ রিজওয়ানের নাম ছিল। তবে মহসিন নাকভি পরামর্শ পেয়েছিলেন বাবরকেই আবারও অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়ার।
শেষ অবধি হয়েছেও তাই। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেই ভিডিও মারফতই জানানো হয় বাবরের নতুন অধ্যায়ের কথা। সেখানেও একথাও উল্লেখ করা হয় যে- সকলের সম্মতিতেই বাবরকে পুনরায় অধিনায়কত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া সেই ভিডিও-তে বাবরের সাথে মহসিন নাকভির বৈঠকের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
সেই ভিডিও-তে যদিও তাদের মধ্যকার কথোপকথন শোনা যায়নি। তবে ক্যাপশনে লেখা ছিল। ‘বাবর আজমকে সাদা বলের অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’ সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক কমিটির সবার সম্মতিক্রমে, চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি বাবর আজমকে সাদা বলের (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।’
ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়েই নিজের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন বাবর আজম। তবে এবার তাকে সর্বসম্মতিক্রমেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি হয়ত নিজের চাহিদার কথাগুলো বলেছেন বোর্ডকে। সেসব মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও হয়ত পেয়েছেন। ঠিক সে কারণেই তিনি আবারও ফিরছেন নিজের চিরচেনা সাম্রাজ্যে।
দায়িত্বটা পুরাতন, তবে নতুনভাবেই গ্রহণ করলেন তিনি। চাপটা নিশ্চয়ই থাকবে তার। তাছাড়া বাবরের সাথে কোন্দল রয়েছে এমন খেলোয়াড়রাও ফিরেছেন আবার। তাতে করে দলের অন্দরমহলের পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ার বিষয়টি থেকেই যাচ্ছে। সবকিছু সামলে বাবর আবার হয়ে উঠতে পারবেন তো নিজ সাম্রাজ্যের অধিপতি?