চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে পরিস্থিতি বারেবারে হয়েছে ঘোলাটে। পাকিস্তান নিজেদের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে চায়। তবে ভারতের রয়েছে নিরাপত্তা ইস্যু। সেই জন্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টিম ইন্ডিয়ার জন্য লাহোরকে বেছে নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তাদের খসড়া সূচিতে, ভারতের সবগুলো ম্যাচ লাহোরে রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে পিসিবি। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আয়োজিত হতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ঠিক সে কারণেই প্রস্তুতি শুরু করেছে আয়োজক পাকিস্তান। যেহেতু পাকিস্তানের ওয়াঘা বর্ডার (ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রসিং) এর নিকটবর্তী হওয়ার কারণে ভারতকে আতিথিয়েতা দিতে লাহোরকে বাছাই করা হয়েছে।
ভারতের সবগুলো ম্যাচ লাহোরে হওয়ার পাশাপাশি টুর্নামেন্টের ফাইনালও সেখানেই আয়োজিত হবে। লাহোর ছাড়াও করাচি, রাওয়ালপিন্ডিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ। তাছাড়া ভারতীয় সমর্থকদের যাতায়াতের সুবিধার কথাও বিবেচনায় নিয়েছে পিসিবি।
বিগত ১৭ বছরে পাকিস্তান সফর করেনি ভারত। শেষবার ২০০৮ সালের এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে গিয়েছিল ভারত। দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন বহুদিনের। তাছাড়া ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের উপর হয় সন্ত্রাসী হামলা। সে কারণে পাকিস্তানে যাওয়া থেকে বিরত থাকে ভারত। সেই সাথে রাজনৈতিক বৈরীতার কারণে ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ অনুষ্ঠিত হয় নি।
গত বছর, এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল হাইব্রিড মডেলে। পাকিস্তানে খেলতে ভারতের অস্বীকৃতির পরে – মূলত এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিলো। রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল ফাইনাল সহ টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচ খেলেছে শ্রীলঙ্কায়। যদিও অক্টোবরে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে ঠিকই ভারতে গিয়েছিল পাকিস্তান।
পিসিবির একটি সূত্র জানায় আইসিসি মহাব্যবস্থাপক ওয়াসিম খানও সম্প্রতি লাহোরে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি শীর্ষস্থানীয় পিসিবির কর্তাদের সাথে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। ভারতীয় দলের ভ্রমণের সূচনা ন্যূনতম রাখার পরামর্শও দিয়েছিলেন ওয়াসিম খান।