শুরুটা করলেন খুবই ধীরগতিতে। তবে কিছুটা সময় পরই পান রানের দেখা। অবশেষে ৬৭ রানে গিয়ে শেষ হয় তাঁর ইনিংস। দিনশেষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক ম্যাচটি স্মরণীয় করেই রাখলেন তানজিদ তামিম।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জন্যে এই সিরিজ অন্তত গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষা-নিরীক্ষার এই সিরিজ দিয়েই টি-টোয়েন্টিতে যাত্রা শুরু হয় তানজিদ হাসান তামিমের। দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহর হাত থেকে গ্রহণ করেন তাঁর অভিষেক ক্যাপ।
অভিষেক হওয়ার এই ইনিংসে জীবন পান তিন তিন বার। ব্লেসিং মুজারাবানির দ্বিতীয় ওভারেই দুইবার ক্যাচ লুফে নিতে ব্যর্থ হয় জিম্বাবুয়ের ফিল্ডাররা। দুইটি ক্যাচই ছিল ত্রিশ গজের ভিতর। মারমুখী হতে গিয়েই সেসব ক্যাচ তুলে দেন তিনি। অর্ধশতকের গণ্ডি পার হওয়ার পর আবারো আকশে বল ভাসিয়ে দেন তামিম। তবে জিম্বাবুয়ান উইকেটরক্ষক জয়লর্ড গুম্বির ভুলে আবারো জীবন পান তিনি।
অভিষেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ তিনি খেলেছেন প্রায় ওয়ানডে ধাঁচে। তিনবার বেঁচে গিয়ে ধীরলয়েই নিজের ইনিংস বড় করেছেন তামিম। যদিও ইনিংসের শেষের দিকে বেশ কিছু বাউন্ডারি আসে তাঁর ব্যাট থেকে। এই ম্যাচে তিনি ৪৭ বলে ৮ চার এবং ২ ছক্কায় করেন ৬৭ রান। যেখানে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪২.৫৫।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরে কাটিয়েছেন দারুণ এক সময়। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এই ওপেনার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় জায়গা করে নেন। যার ফলে জাতীয় দলে প্রবেশের রাস্তা সহজ হয়ে যায় তামিমের জন্য। টি-টোয়েন্টির আগে অবশ্য গতবছরই ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক হয় তাঁর।
এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা ইতোমধ্যে হয়ে গেছে তানজিদ তামিমের। এখন তিনি অপেক্ষা আছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবার। সেই সুযোগটিও এসেই যাবে হয়তো তার। কেননা রান তো তিনি পাচ্ছেন। যদিও স্ট্রাইকরেটকে চাইলেই করা যায় প্রশ্নবিদ্ধ। তবুও তানজিদের আগ্রাসী একটা দিক রয়েছে, সে দিকটির দেখা মিলবে বিশ্বকাপে- তেমনটাই তো প্রত্যাশিত।