কারও জন্য তিনি দেশদ্রোহী, কারও জন্য পথহারানো সুপারস্টার। কারও জন্য আবার অবসর ভেঙে ফেরা এক স্বপ্নের দিশারী। মোহাম্মদ আমিরের চারিত্রিক অনবদ্যতা তাই আর নতুন করে বলার কিছু নেই।
২০০৯ সালে অভিষিক্ত আমিরকে নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অবসর ভেঙে তিনি ফিরেছেন জাতীয় দলে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) স্বপ্ন ২০১০ সালের সেই ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়া সফরের মত আবারও স্যুইংয়ের জাদু দেখাবেন তিনি।
২০২০ সালে আমির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেও পাকিস্তান সুপার লিগসহ (পিএসএল) সকল ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই পারফরম করে আসছেন নিয়মিত। ২০২৪ সালে নতুন নির্বাচক কমিটি গঠন হলে আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য ঈমাদ ওয়াসিমের সাথে সাথে তাকেও দলে নেয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয় । আর সে জন্যই নিউজিল্যান্ড সিরিজে ঈমাদের পাশাপাশি তাকেও দলে রাখা হয় ।
তবে এত কিছুর পরেও সমলোচনা যেন থেমে নেই। ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলেই নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা – এমন কথা বলা লোকেরও অভাব নেই। তবে, আমির সমালোচনার জবাব দিয়ে বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রধান ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর কী? পিএসএল। আর সেখানে আমরা দুজনই (ইমাদ) পিএসএলে খেলেছি। এখানে পারফর্ম করার পাশাপাশি অন্যান্য লিগেও নিয়মিত হাজির হচ্ছি। তাহলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের জন্য আমাদের বাছাই করতে ভুল কোথায়?’
আমির দাবি করেছেন পাকিস্তান দলের সাবেক ম্যানেজার মোহাম্মদ হাফিজ তার অবসরের পুনর্বিবেচনার বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু, ক্রিকেট বোর্ড এবং দলের মধ্যে অনিশ্চয়তার কথা চিন্তা করে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
তিনি মনে করেন তাদের ক্ষেত্রে নির্বাচক কমিটি একমাত্র ঘরোয়া লিগ এবং তাদের ফিটনেসকেই অনুসরণ করেন। তবে, টেস্ট বা ওয়ানডের মতো ফরম্যাটের জন্য, ঘরোয়া ক্রিকেটে পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রতি গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন। তবে, নিশ্চয়ই আমির চাইবের পারফরম্যান্স দিয়েই সকল সমালোচনার জবাব দিতে!