এসেছে নতুন বছর, নতুন সাল, নতুন দশক। পুরোনো গ্লানি, সমস্যা আর দূর করে ২০২১ ছিল এক নতুন শুরুর প্রত্যাশা। পুরো বিশ্ব করোনা পরিস্থিতিকে পেছনে ফেলে নতুন এক পৃথিবীর পথে পাড়ি দিচ্ছে। তবে ব্রিটেনের জন্য এই পরিবর্তনটা আরো জটিল। প্রায় অর্ধশতক ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে থাকার পর অবশেষে ছাড়া ছাড়াই হচ্ছে ইইউ আর ব্রিটেনের। যাকে পুরো বিশ্ব গালভড়া নাম দিয়েছে, ‘ব্রেক্সিট’।
‘ব্রেক্সিট’ কী?
ব্রেক্সিট হলো মূলত ব্রিটেন আর এক্সিটকে মিলিয়ে তৈরি করা একটা শব্দ।
ব্রিটেন বলতে শুধু ইংল্যান্ড নয়, বরং চারটি দেশকে নিয়ে গঠিত ইউনাইটেড কিংডম। যার মধ্যে রয়েছে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড। গত অর্ধশতাব্দী ধরে এই চারটি দেশ ছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন হলো মূলত ইউরোপের ২৭ টি দেশ নিয়ে গঠিত একটি সংগঠন, যারা ইউরোপের ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে একে অপরের সাহায্যে এগিয়ে আসে।
১৯৭২ সালে থেকে এই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য ব্রিটেন। ‘ইইউ’ভুক্ত দেশ হলে আপনাকে নিজেদের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্কের জন্য আলাদা করে ট্যাক্স দিতে হবে না। এমনকি ভ্রমণের জন্য ভিসাও তৈরি করতে হবে না। আপনার ‘ইইউ’ভুক্ত কোনো দেশের পাসপোর্ট থাকলেই অবাধে চলাচল করতে পারবেন পুরো ইউরোপে। কিন্তু ব্রিটেন অনেকদিন ধরেই এই ইইউ থেকে বের হওয়ার জন্য রাস্তা খুঁজছিল। এর মূল কারণ ছিল তাদের প্রচলিত মুদ্রা ব্যবস্থা।
পুরো ইউরোপ ইউরো ব্যবহার করলেও ব্রিটেনের মুদ্রা হিসেবে প্রচলিত পাউন্ড। দুই মুদ্রার মানে প্রায় ১১ টাকার মতো পার্থক্য থাকলেও ব্যবসার কাজে ঠিকই ইউরোর মানে পাউন্ড নিতে হতো ব্রিটিশদের। ব্রিটিশদের মতন ব্যবসায়ী জাতির এ নিয়ে মন কষাকষি থাকবেই। সে কারণেই দিনকেদিন ইইউ থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজছিল ব্রিটেন। তাই ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বোরিস জনসন শোপথ নেওয়ার পর তা যেন হয়ে উঠে সময়ের ব্যাপার। ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি ব্রিটেনের মানুষ রায় দেয়, আর তারা ইইউর সাথে থাকতে চায় না। ইউরোপের সাথে এখন সকল সম্পর্ক হবে ঠিক অন্যসব নন-ইইউ দেশের সাথে হয় ঠিক সেভাবেই। আর সেটিই কার্যকর হয়েছে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে।
ব্রেক্সিটের প্রভাব
প্রথমেই ব্রেক্সিটের প্রভাবে ইউরোপ আর ব্রিটেনের অর্থনৈতিক প্রভাবগুলো আলোচনা করা যায়। আগে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইউরো আর পাউন্ডের মূল্য সমান থাকতো। কিন্তু এবার তা থেকে বের হয়ে আসছে ব্রিটেন। তাই ব্রিটেনের সাথে ব্যবসা করতে গেলে আলাদা করে কিছু খরচ হবে ইউরোপিয়ানদের। সেই সাথে ইউরোপের কোনো দেশে চাইলেই চাকরি, থাকার ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট লাগবে ব্রিটিশদের। ৯০ দিনের ভিসা দিয়ে তাদেরকে থাকতে হবে সেই দেশে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ছোট-বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে, কিন্তু ফুটবলারদের ক্ষেত্রে এটুকুই মূল।
ইউরোপিয়ান টপ লেভেলে প্রিমিয়ার লিগ এখনও তাদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। পুরো বিশ্বের মধ্যে এখনও সর্বোচ্চ স্থানটা ধরে রেখেছে ইংলিশরা। মোট চার দেশের লিগের উপরে প্রভাব পরলেও বাকি তিন লিগের তেমন সমস্যা হবে না যতটা হবে ইংলিশ লিগের। বড় বড় দেশের স্টাররা নিজের স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশে পাড়ি জমায় ইংল্যান্ডে। এমনকি কম বয়সে ইংলিশ লিগে খেলার স্বপ্ন নিয়ে বিভিন্ন দেশ ছাড়ে ইউরোপিয়ান ইয়াংস্টাররা। ঠিক এ জায়গাতেই আঘাত হেনেছে ব্রেক্সিট। ইউরোপে খেলার সমীকরণ আরো কঠিন করে তুলেছে এই বছর থেকে শুরু হওয়ার ব্রেক্সিট নিয়ম।
ইউরোপের লিগগুলোতে মূলত ইউরোপিয়ানদের অবাধ বিচরণ। বিদেশী খেলাবার ব্যাপারে তাদের বিধিনিষেধ খুবই সীমিত। প্রায় প্রতি লিগেই দেখা যায় প্রচুর বিদেশির আনাগোনা। ইংলিশ লিগের ২৫ জনের স্কোয়াডে অন্তত ৮ জন ‘হোমগ্রোন’ খেলোয়াড় রাখতেই হবে, বাকি ১৭ জন খেলোয়াড় হতে পারে নন-হোমগ্রোন। এখানে ‘হোমগ্রোন’ নিয়মটা কিছুটা ব্যতিক্রম। ‘হোমগ্রোন’ হতে হলে ১৫ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে কোনো খেলোয়াড়কে অন্তত ৩ বছর সেই দেশে কিংবা সেই দেশের কোনো একাডেমিতে থাকতে হবে। তবেই সে সেদেশের ‘হোমগ্রোন’ খেলোয়াড়দের স্বীকৃতি পাবে। এক্ষেত্রে ইংলিশ লিগের তেমন সমস্যা নেই খেলোয়াড় বেচাকেনার ক্ষেত্রে।
ইইউ কিংবা ইইউর বাইরে থাকা যেকোনো দেশ থেকে তারা চাইলে এই ১৭ জনের জায়গা পূরণ করতে পারবে। কিন্তু অন্যান্য ইউরোপীও দেশদের এই ব্যাপারে বিধিনিষেধ আলাদা। তাদের দেশে হোমগ্রোন খেলোয়াড়ের নিয়ম নেই, বরং রয়েছে নন-ইইউ খেলোয়াড়দের নিয়ম। লা-লিগা, সিরি-আ থেকে সকল ইউরোপিয়ান লিগে যেকোনো ৫ জন খেলোয়াড় খেলতে পারবেন যেকোনো দলে। যে কারণে কোনো ইংলিশ খেলোয়াড়কে কিনতে গেলে এখন সেখান থেকে একটা স্থান বরাদ্দ দিতে হবে। যাতে ইংলিশ লিগ থেকে খেলোয়াড়দের বিদেশি লিগে খেলা আরো কমে গেল। এমনিতেই ইংলিশদের বিদেশি লিগে খেলতে দেখা যায় না, তবে এখন আরও কমে গেল ব্রেক্সিটের সুবাদে।
তবে ব্রেক্সিটের সবচেয়ে বড় অসুবিধা যাতে হবে অনুর্ধ্ব-১৮ খেলোয়াড় সাইন করানোর সময়। ‘মডার্ন ফুটবল ট্র্যাফিকিং’ এর কারণে আগে থেকেই আফ্রিকান খেলোয়াড় সাইন করা বন্ধ। কিন্তু ইউরোপের ভেতরে এই সাইনিং করতে তেমন কোনো বাধা ছিল না। বরং ইংলিশ লিগের দলগুলো ইউরোপ থেকে ইয়াংস্টার টেনে আনায় বেশ দক্ষ।
ইংলিশ লিগের বড় দলগুলো খুব একটা না গেলেও ছোট ছোট দলগুলো দাও মারে বিভিন্ন লিগ থেকে কম বয়সী খেলোয়াড় কিনে। আর একবার যদি সেই খেলোয়াড় দলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যেতে পারে, তাহলে তো কথাই নেই। আবার ১৬-১৭ বছরে এনে যদি সেই খেলোয়াড়কে দলে ৩ বছর রাখা যায়, তবে ভবিষ্যতে তাকে ‘হোমগ্রোন’ খেলোয়াড় হিসেবেও দলে রাখা যাবে। এজন্য সবকিছু চিন্তা করে হরহামেশাই ইউরোপিয়ান ইয়াংস্টারদের দলে ভেড়াতো ইংলিশ দলগুলো। এটা ব্রেএক্সিটের একটা কুফল হিসেবেই ধরা যায়। কিন্তু এটা কি আসলেই তেমন বড় কোনো সমস্যা? নন-ইংলিশ ট্যালেন্টদের নার্চার করার ব্যাপারে ইংলিশ লিগের সুনাম তেমন নেই।
নন-ইংলিশ সুপারস্টারের ইংলিশ লিগ জয় করার কথা আসলে সবার আগে নাম আসে সেস্ক ফ্যাব্রিগাসের। লা মাসিয়ার কন্ট্রাক্টের লুপহোল কাজে লাগিয়ে মাত্র ১৬ বছর বয়সে বার্সেলোনা থেকে লণ্ডনে নিয়ে এসেছিলেন কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার। তার সান্নিধ্যে দলে যোগ দেওয়ার এক মাসের মাথায় নেমেছিলেন মূল দলের জার্সি গায়ে। আর ১৭ তে পা দিতে দিতে হয়ে উঠেছিলেন আর্সেনালের মূল দলের নিয়মিত তারকা।
৮ বছরের আর্সেনাল জীবনে আর্সেনালকে কম কিছু দেননি। কিন্তু ২০১০ বিশ্বকাপ জেতার পর বার্সার জার্সি গায়ে উদযাপন করায় মন কষাক্কষি হয় আর্সেন ওয়েঙ্গার আর ফেব্রিগাসের । সে কারণেই ২০১১ সালে আর্সেনাল ছেড়ে বার্সেলোনায় পাড়ি দেন ফ্যাব্রিগাস। কিন্তু সে সময় খুব কম মানুষেরই তার ট্যালেন্ট নিয়ে প্রশ্ন করবার সুযোগ পেয়েছিল। ইংল্যান্ডের মানুষ যেন তাদেরই একজন করে নিয়েছিল তাকে। এরপর ইংল্যান্ডে ফিরে খেলেছেন রাইভাল চেলসির হয়ে, কিন্তু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন সব জায়গাতেই।
উদাহরণ হিসেবে আনা যায় নিকলাস আনেলকাকেও। ১৭ বছর বয়সে আর্সেন ওয়েঙ্গারের হাত ধরে পিএসজি থেকে আর্সেনালে এসেছিলেন এই ফ্রেঞ্চ সুপারস্টার। যদিও মাত্র তিন বছর খেলে দল ছেড়েছেন, ঘুরে বেরিয়েছেন বিশ্বজুড়ে। কিন্তু ৩ বছরে ঠিকই হোমগ্রোন খেলোয়াড় হয়ে গিয়েছিলেন আনেলকা।
সেস্ক ফ্যাব্রিগাস বা নিকলাস আনেলকাকে প্রতিবার এই এক জায়গাতে টানা হলেও তিনি কিন্তু মেজোরিটি নন। বরং তারা ছিলেন দু-একটি ব্যাতিক্রমী উদাহরণ। প্রতিবছর হল্যান্ড থেকে বহু তারকা খেলোয়াড় ইংলিশ মূল দলে খেলতে দেশ ছাড়ে। কিন্তু গত কয়েক বছরে হোমগ্রোন খেলোয়াড় হয়ে দলে জায়গা করে নিতে পেরেছেন এমন উদাহরণ খুবই কম।
হল্যান্ডের টিম ক্রুল, নাথান একে ছাড়া তেমন কাউকে খুঁজে পেতে বেশ কষ্ট হয়। হল্যান্ডকে বলা হয় তরুণ খেলোয়াড়দের আড্ডাখানা। কিন্তু সেখান থেকে কম বয়সে আসা তারকাদের ইংল্যান্ডে খুঁজে পেতে বেশ কষ্টই হয়। কিন্তু একটু পরিপক্ক হয়ে এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে যারা আসে তারা ঠিকই কম সময়ে সাফল্য পেয়ে যায়। যেমনটা বর্তমান লিভারপুলের ভার্জিল ভ্যান ডাইক কিংবা জিনি ওয়াইনালদাম।
কম বয়সে আয়াক্স থেকে গত ৫ বছরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এসেছেন চারজন তারকা। এরমধ্যে শুধু তানিথ চং ম্যানচেস্টারের জার্সি গায়ে চড়িয়েছেন, যদিও এখন তিনি ঘুরছেন ধারে।
শুধু হল্যান্ড না, পুরো ইউরোপ থেকেই এভাবে তরুণ খেলোয়াড়দের কিনে তাদের পটেনশিয়াল অনুযায়ী খেলতে না পারার উদাহরণ অনেক। একই সময়ে বার্সা ছেড়েছিলেন ফ্যাব্রিগাস ও পিকে। ফ্যাব্রিগাস নাম কামাতে পারলেও, পিকে পারেননি। ২০০৮ সালে আবার ফিরেছেন বার্সায়। একই ঘটনা ঘটছে এরিক গার্সিয়ার সাথে। ১৬ বছর বয়সে সিটিতে চলে যাওয়ার পর এখন ফিরতে চাচ্ছেন বার্সায়। ব্রাহিম ডিয়াজও মালাগা ছেড়ে সিটিতে গিয়ে মানাতে না পেরে ফিরে এসেছেন রিয়াল মাদ্রিদে।
কম বয়সে নিজের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে যাওয়া হয়তো অর্থনৈতিকভাবে একজন খেলোয়াড় এবং তার দলকে বেশ সাহায্য করে, কিন্তু প্রভাব পরে সেই খেলোয়াড়ের উপর। ইংলিশ লিগের ফ্যাসিলিটি নিতে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই, কিন্তু নিজের দেশ ও অপরিচিত জায়গার সাথে একেবারে কম বয়সে মানিয়ে নেওয়া অনেক বড় একটা ব্যাপার। বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই এই জায়গাতে এসে খেই হারিয়ে ফেলে। কারণ টিনএজ বয়সে যতটা না দরকার ফ্যাসিলিটিস, তার থেকে প্রয়তোজন কেয়ার। সেটা ঠিকমতো না হলে একজন তরুণ খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ার শুরুতেই থেমে যেতে পারে। যেমনটা হয়েছে ড্যানি প্যাচেকোর সাথে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে লিভারপুলে গিয়ে নজর কাড়লেও এখন দিন কাটাচ্ছেন দলহীন হয়তে। অথচ বয়সটা মাত্র ২৯।
আপাত দৃষ্টিতে ব্রেক্সিট ইংলিশ দলগুলোর জন্য একদিক দিয়ে ভালোই। কারণ এতে করে কম বয়সে যেমন তরুণ তারকাদের চাইলেই কম বয়সে দলে আনতে পারবে না তারা, তেমনই তরুণরা খুব কম বয়সে টাকার আয়ের লোভে ভিড়বে না বড় ইংলিশ ক্লাবে। এছাড়াও ইংলিশ হোমগ্রোন খেলোয়াড়দের আরও সুযোগ বাড়বে স্টেপ-আপ করার।
বড় দলগুলোর জন্য ব্রেক্সিট সুসংবাদ বয়ে আনলেও ছোট কিংবা চ্যাম্পিয়নশিপ দলগুলোর জন্য এই ব্রেক্সিট অনেকটাই অশনিসংকেত। কারণটা স্পষ্ট, বড় দলগুলো তরুণ খেলোয়াড় কিনে ভবিষ্যতের জন্য। আর ছোট দলগুলো কিনে ব্যবসার জন্য। সাউদাম্পটন, ওলভারহ্যাম্পটন কিংবা কয়েকবছর আগেও টটেনহ্যাম যেটা করতো। কম দামে তরুণ খেলোয়াড়দের কিনে নিজেরা কিছুদিন ডেভোল্যাপ করতো। এরপর সময়মতো চড়া মূল্যে বিক্রি করতো জায়ান্টদের কাছে। অনুর্ধ্ব-১৮ খেলোয়াড় কেনার জায়গা বন্ধ হয়ে গেলে এই জায়গাতে বেশ মুশকিলে পরতে হবে সেলিং ক্লাব হিসেবে ইংলিশ লিগে টিকে থাকা দলগুলোকে। বাধ্য হয়েই তখন নিজেদের ইংলিশ তরুণতূর্কিদের দিকে নজর দিতে হবে তাদের। নইলে নিজেদের ক্লাব সামলাতেই হিমশিম খেতে হবে তাদের।
সবমিলিয়ে ব্রেক্সিট ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের জন্য সুখবর বয়ে আনছে যতক্ষন আপনি জিনিসটা খালি চোখে দেখছেন। কিন্তু আতশী কাঁচের নিচে ফেললেই দেখা মিলবে ছোট ছোট সমস্যাগুলো। ছোট ক্লাবগুলো যদি নিজেদের ব্যবসায়িক পলিসি ঠিক না করতে পারে তবে প্রিমিয়ার লিগের ইন্টেন্সিটিতে ভাটা পরবে অনেকখানি। যদিও ধারে কাছে কোনো লিগ তাকে টেক্কা দিতে পারছে না, তবুও কোভিড পরবর্তী খানিক ধাক্কা বেশ বড়সর হয়েই লাগবে। বাকিটা সময়ের হাতে।