মাস পেরোলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে মরিয়া প্রতিটি খেলোয়াড়। সবাই যার যার জায়গা থেকে দিয়ে যাচ্ছেন নিজের সেরাটা। ভারতীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লোকেশ রাহুলও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে প্রশ্ন হচ্ছে দলে কোথায় খেলবেন তিনি?
চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ৩৪ তম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হয় লখনৌ সুপার জায়ান্টস। সেই ম্যাচে ৬ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাহুলের দল। সে জয়ে বিশেষ ভূমিকা রাখেনে এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
রাহুলের জন্য আইপিলের প্রতিটি ম্যাচই সোনার হরিণ। কেননা, জাতীয় দলে জায়গা পেতে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করতেই হবে রাহুলকে। তিনি যে এখনও ফুরিয়ে যাননি, সে প্রমাণ করতে হবে। পাশাপাশি মন জয় করতে হবে অধিনায়ক রোহিত শর্মার ও কোচ রাহুল দ্রাবিড়সহ দলের নির্বাচকদের।
টুর্নামেন্ট শুরুর সপ্তাহখানেক আগে রাহুল ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি মিডল অর্ডারে ব্যাট করবেন আর উইকেটরক্ষকের ভূমিকা পালন করবেন। যদিও লখনৌয়ে কুইন্টিন ডি কক আর নিকোলাস পুরানের মতো বিশ্বমানের দুইজন উইকেটরক্ষক রয়েছে।
আইপিএল আর টি-টোয়েন্টিতে রাহুলের সেরা ইনিংসগুলো এসেছে ওপেনিং ব্যাটার হিসেবে। তবে ভারতের ওপেনিং পজিশনে নিজের স্থান করে নেয়া এখন চীনের মহাপ্রাচীর ভাঙ্গার সমান। কেননা সেই জায়গাগুলো রোহিত শর্মা, শুভমান গিল, যশস্বী জয়সওয়ালের মতো খেলোয়াড়েরা দখল করে আছে।
যদি তিনি ভারতের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে আবারো প্রবেশ করতে চান। তবে তা হতে পারে ফিনিশার হিসেবে। তবে ঋষভ পান্তের ফিরে আসা এবং শিবম দুবের বিধ্বংসী সব ইনিংস রাহুলের মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে। তাছাড়া রিঙ্কু সিংয়ের ভয়হীন ব্যাটিংও বাঁধার কারণ হতে পারে রাহুলের জন্য।
প্রশ্ন উঠতে পারে রাহুল কি ওপেনিং ব্যাটিংয়েই মনোযোগ দেবেন কি-না। কেননা, তাঁর সেরা মৌসুম ছিল ২০১৮ সালে যেখানে তিনি ১৫৮.৪১ স্ট্রাইক রেটে করেন ৬৫৯ রান। তবে পর্যায়ক্রমে তাঁর স্ট্রাইক রেট কমতে থাকে। ২০১৯ সালে করেন ৫৯৩ রান, স্ট্রাইক রেট ছিলো ১৩৫.৩৮ ।
২০২০ সালে অধিনায়ক হিসেবে করেন ৬৭০ রান, অর্জন করেন অরেঞ্জ ক্যাপ। তবে স্ট্রাইক রেট কমে গিয়ে হয় ১২৯.৩৪। আবার ২০২১ সালে ১৩৮.৮০ স্ট্রাইক রেটে করেন ৬২৬ রান এবং ২০২২ সালে ১৩৫.৩৮ স্ট্রাইক রেটে করেন ৬১৬ রান।
চেন্নাইয়ের বিপক্ষে রাহুলের ম্যাচ জয়ী ইংনিসটাই তাঁর উপস্থিতির জানান দিচ্ছে। যেখানে তিনি ৫৩ বলে ১৫৪.৭২ স্ট্রাইক রেটে ৯ চার এবং ৩ ছক্কায় করেন ৮২ রান। জেতেন প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচের পুরস্কার। তাই বলাই যায়, জাতীয় দলে প্রবেশের টিকিট পাওয়ার সম্ভবনাকে এখনো বাঁচিয়ে রাখলেন লোকেশ রাহুল।