মার্ক চ্যাপম্যান, পাক বধের কিউই নায়ক

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলার সুযোগ হয়নি; তাই সতীর্থরা যখন ভারতে জমকালো টুর্নামেন্ট নিয়ে ব্যস্ত, তখন মার্ক চ্যাপম্যানকে জাতীয় দলের হয়ে উড়ে যেতে হয়েছে পাকিস্তানে। আর সেটা বোধহয় পছন্দ হয়নি তাঁর; সেজন্য ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন বাইশ গজে, ব্যাট হাতে।

অবশ্য পাকিস্তান বরাবরই চ্যাপম্যানের প্রিয় প্রতিপক্ষ, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দলটার বিপক্ষে তাঁর রয়েছে ঈর্ষনীয় রেকর্ড। এর আগে ৪৩ গড় ও ১৬০ ছুঁই ছুঁই স্ট্রাইক রেটে ৪৩৪ রান করেছেন তিনি। অথচ আর কোন দলের বিপক্ষে ১৫০ স্ট্রাইক রেটেও ব্যাট করতে দেখা যায়নি তাঁকে। বলাই যায়, অতীত পরিসংখ্যানের পুনরাবৃত্তি দেখা গিয়েছে রাওয়ালপিন্ডিতে।

এদিন মাত্র ৪২ বল খেলে অপরাজিত ৮৭ রান করেছেন এই ব্যাটার। নয় চারের সঙ্গে চার ছক্কায় সাজানো ইনিংসটিতে তাঁর স্ট্রাইক রেট দুইশর বেশি। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে কেউই বলার মত কিছু করতে পারেননি, তবু দশ বল আর সাত উইকেট হাতে রেখে জিতেছে নিউজিল্যান্ড সেটার কারণ তাঁর এমন অতিমানবীয় ব্যাটিং।

চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে যখন বাইশ গজে আসেন এই বাঁ-হাতি, তখন কিছুটা ব্যাকফুটে ছিল কিউইরা। ১৭৯ রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতেই দুই উইকেট হারিয়ে বসেছিল তাঁরা, তাই তো ম্যাচে ফিরতে হলে দারুণ কিছু করতে হতো তাঁকে। সেটাই করেছেন তিনি, কাউন্টার অ্যাটাক করে সব চাপ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন।

আগ্রাসন আর দায়িত্বশীলতার মিশ্রণে সাবলীল ব্যাটিং করেছেন ব্ল্যাক ক্যাপস তারকা। নিয়মিত বাউন্ডারি হাঁকানোর পাশাপাশি স্ট্রাইক রোটেটও করেছেন, ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি করতে তাঁর লেগেছিল কেবল ২৯ বল। এরপর অবশ্য হুট করেই হিংস্র হয়ে উঠেন তিনি, পরের নয় বল থেকে আদায় করেন ৩২ রান। অন্যপ্রান্তে ডিন ফক্সক্রফট ২৯ বলে ৩১ রান করার মধ্য দিয়ে সমর্থন দিয়েছেন তাঁকে।

এর ফলে জয়ের কঠিন সমীকরণ একেবারে সহজ হয়ে যায়। শেষদিকে ফক্সক্রফট আউট হলেও তাই সমস্যা পড়তে হয়নি, জেমস নিশামকে সঙ্গে নিয়ে বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন চ্যাপম্যান। ম্যাচ জেতানোর পাশাপাশি এমন পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপের টিকিটও প্রায় নিশ্চিত করে ফেললেন তিনি। তাই তো তাঁর কাছ থেকে এখন ধারাবাহিকভাবে সেরাটা পেতে চাইবে টিম ম্যানেজম্যান্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link