তাল হারিয়ে এলোমেলো মুস্তাফিজ

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজে মুস্তাফিজুর রহমানকে চাই-ই চাই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ম্যানেজমেন্টের। তাতে করে চারিদিকে যেন এক সমালোচনার ঝড়। কেন মুস্তাফিজকে খেলতেই হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে?

এমন প্রশ্নবাণের পেছনের কারণ ছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মুস্তাফিজের সম্ভাবনাময় পারফরমেন্স। তবে সময়ের সাথে সাথে সে পারফরমেন্স যেন কোথাও একটা মিলিয়ে যাচ্ছে। ‘কাটার মাস্টার’ আবার যেন ফিরছেন নিজের খাপছাড়া রূপে। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে হারতে হয়েছে তার দলকে। শেষ ওভারে ১৭ রানও ডিফেন্ড করতে পারেননি মুস্তাফিজ।

এবারের আইপিএলে মুস্তাফিজের শুরুর যাত্রা হয়েছিল চোখ ধাঁধানো। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে চার উইকেট বাগিয়ে আইপিএলের অন্যতম সেরা মৌসুম কাটানোর আভাসই যেন দিচ্ছিলেন তিনি। শুরুর দিকে ধারাবাহিকও ছিলেন বটে। মাথায় উঠেছিল ‘পার্পেল ক্যাপ’। কেননা কিছু সময়ের জন্য তিনিও যে ছিলেন আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।

তবে সময়ের পরিক্রমায় মুস্তাফিজের সেই দুর্ধর্ষ পারফরমেন্স বিলীন হতে শুরু করে। আইপিএলের মঞ্চে শেষ তিন ম্যাচে মুস্তাফিজের শিকার তিন উইকেট। আপাতদৃষ্টিতে খুব একটা খারাপ নয় নিশ্চয়ই। তবে সমস্যা হচ্ছে ভিন্ন জায়গায়। দেদারছে রান বিলিয়ে দিচ্ছেন মুস্তাফিজ। শেষ তিন ম্যাচে ১৪৯ রান দিয়েছেন বাঁ-হাতি এই বোলার।

রান বন্যার আইপিএলে এমন রান বিলিয়ে দেওয়া নিশ্চয়ই দোষের কিছু নয়। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে এমন চলতে থাকলে ফ্রাঞ্চাইজি নিশ্চয়ই একাদশে রাখার ঝুঁকি নিবে না। অবশ্য মুস্তাফিজের হাতে খুব বেশি সময়ও বাকি নেই। আর মাত্র দু’টো ম্যাচ খেলার সুযোগ রয়েছে মুস্তাফিজের সামনে। এরপরই দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে তাকে।

যদিও সেই দুই ম্যাচে মুস্তাফিজ আদতে একাদশে জায়গা পাবেন কি-না সে প্রশ্ন অবশ্য থেকেই যায়। কেননা লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ডেথ ওভারে মুস্তাফিজের হয়েছে ভরাডুবি। শেষের তিন ওভারে লখনৌয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪৭ রান।

১৮ তম ওভারে মুস্তাফিজ খরচ করেন ১৫ রান। একই ধারায় তিনি বল করেন ইনিংসের শেষ ওভারেও। লখনৌয়ের ১৭ রান টপকাতে মুস্তাফিজের তিন বলই যথেষ্ট প্রমাণিত হয়। কেননা মাঝের একটি বলে যে নো-বলও করে বসেন মুস্তাফিজ।

যদিও একেবারেই খারাপ কাটছে মুস্তাফিজের এবারের আইপিএল যাত্রা তা কিন্তু নয়। তবে যাত্রার শেষ দিকে এসে কেমন একটা খেই হারিয়ে ফেলছেন। হতাশ করছেন নিজ সমর্থকদের। যারা মুস্তাফিজের ধারাবাহিক তীক্ষ্ম কাটারের অপেক্ষায় ছিলেন, তাদের বুক জুড়েই যেন এখন হতাশার দীর্ঘ শ্বাস আটকে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link