রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর ফর্ম মোটেই ভাল যাচ্ছিলো না, দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের পর থেকে একটানা হেরেই চলছে তাঁরা। তাই তো তাঁদের বিপক্ষে যখন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ মুখোমুখি হয়েছিল তখন প্রায় সবাই ধরেই নিয়েছিল বড় ব্যবধানে হারতে যাচ্ছে ফাফ ডু প্লেসিসের দল। কিন্তু মাঠের খেলায় ঘটেছে উল্টো ঘটনা, যার নেপথ্যে দুই স্পিনার স্বপ্নীল সিং আর কর্ণ শর্মা।
বোলিং ইনিংসে রজত পতিদারের পরিবর্তে ইম্প্যাক্ট সাবস্টিটিউট হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন স্বপ্নীল, এরপর সত্যিকারের ইম্প্যাক্টফুল পারফরম্যান্সই উপহার দিয়েছেন তিনি। বলা যায়, ব্যাঙ্গালুরুর জয়ের পথ তাঁর মাধ্যমেই সহজ হয়েছিল।
এদিন তিন ওভার হাত ঘুরিয়ে চল্লিশ রান খরচ করেছিলেন এই বোলার, বিনিময়ে শিকার করেছেন দুই উইকেট। স্কোরবোর্ড দেখে হয়তো গুরুত্ব বুঝা যাবে না, কিন্তু ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী দলকে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উইকেট এনে দিয়েছিলেন তিনি। তাই তো খরুচে বোলিং সত্ত্বেও তাঁকে জয়ের সহ-নায়ক ভাবতেই পারেন সমর্থেকরা।
চলতি আইপিএলে হায়দ্রাবাদের প্রতিটি ব্যাটার আগ্রাসনকে অন্য রূপ দিয়েছিলেন। বিশেষ করে এইডেন মার্করাম, হেনরিখ ক্লাসেন এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। এই ম্যাচে তাঁদের দু’জনকেই এক অঙ্কের ঘরে থামিয়ে দিয়েছেন বাঁ-হাতি স্বপ্নীল। সেজন্য অবশ্য সময় ক্ষেপণও করেননি তিনি, ব্যক্তিগত প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হেনেছিলেন প্রতিপক্ষ শিবিরে।
এর ফলে শুরুতেই ব্যাটিং লাইনআপে ধ্বস নেমেছিল প্যাট কামিন্সদের। সেই ধ্বস আরো ত্বরান্বিত করেছেন কর্ণ, ইনিংসের অষ্টম আর দশম ওভারে নিতীশ রেড্ডি এবং আবদুল সামাদকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। শুধু উইকেট তুলেই ক্ষান্ত হয়নি তাঁর মন, নিজের পুরো স্পেলে কিপ্টে বোলিং করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে স্পিন বিভাগের দুর্বলতার জন্য ভুগেছে চ্যালেঞ্জার্স বাহিনী। মাঝের ওভারে দু’হাতে রান খরচ আর উইকেট নিতে না পারার কারণেই পিছিয়ে পড়েছিল তাঁরা। তবে শেষ সময়ে এসে স্পিনাররা ম্যাচ জিতিয়েছে, এই ব্যাপারটি কিছুটা হলেও হয়তো স্বস্তি দিবে টিম ম্যানেজম্যান্ট – যদিও ইতোমধ্যে প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে দলটি, এখন শুধুই লজ্জা বাঁচানোর লড়াই বাকি।